নয়া দিল্লি: কৃষক আন্দোলনের চাপে বিগত কয়েক দিন ধরেই হরিয়ানা (Haryana) সরকারের ভাঙনের গুজব ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার পর মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর (ML Khattar) ও উপমুখ্যমন্ত্রী দুশ্যন্ত চৌটালা (Dushyant Chautala) রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, “হরিয়ানায় সরকার ভাঙার কোনও সম্ভাবনা নেই। পাঁচ বছরের মেয়াদই পূর্ণ করবে সরকার।”
গত ৫০ দিন ধরে চলা কৃষক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ কৃষকই পঞ্জাব ও হরিয়ানার হওয়ায় কার্যত দুই সরকারের উপর চাপ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল সুপ্রিম কোর্ট তিনটি কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ জারি করার পরই তড়িঘড়ি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একঘণ্টা বৈঠক করে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর বলেন, “সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভুয়ো খবর রটানোর কোনও অর্থ নেই। মেয়াদ সম্পূর্ণ করবে আমাদের সরকার।” তিনি জানান, রাজ্যের আইন ব্যবস্থা নিয়েই কথা হয়েছে অমিত শাহের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: আদালতের সিদ্ধান্ত নাকচ, কৃষকরা জানাল ‘সুপ্রিম কোর্টকে ব্যবহার করে কমিটি গড়ছে কেন্দ্র’
২৬ জানুয়ারিতে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠানের বিষয় নিয়েও কথা বলেছি। কীভাবে বিনা অসুবিধায় এই অনুষ্ঠান পরিচালন করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এটি একটি জাতীয় অনুষ্ঠান এবং সকলেই এর গুরুত্ব বোঝেন।” কৃষক আন্দোলন ও সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর আশা করা হচ্ছে যে কৃষকরা তাঁদের আন্দোলনে ইতি টানবেন।”
অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের আইন স্থগিতাদেশ জারি করার সিদ্ধান্তে দুশ্যন্ত চৌটালা বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট একটি কমিটি গঠন করেছে। আশা করছি শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও বিজেপি ও জেজেপি-র রাজ্য সভাপতি এবং রাজ্য ক্যাবিনেট মন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে দুশ্যন্ত চৌটালা তাঁর দলের বিধায়কদের সঙ্গে ফার্ম হাউসে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে বিধায়কদের একাংশ জানান, কৃষক আন্দোলনের ফলে তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। যদি কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা হয়, তবে বিধায়কদের খোয়াতে হতে পারে, এমনটাও জানান তাঁরা।
আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলনে অভিনব সমর্থন, জালিকাট্টু দেখতে তামিলনাড়ু যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী