
চণ্ডীগঢ়: একদিকে যেখানে ভিনরাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থা নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানেই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। নেপথ্যে সেই পরিযায়ী ইস্যু। বলা ভাল, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ। হরিয়ানা থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উৎখাতের হুঙ্কার দিয়েই সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একহাত নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
গতকালই গুরুগ্রাম পুলিশ ১০ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করে, যারা পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করছিল। তাদের কাছ থেকে পরিচয়পত্র সহ একাধিক নথি পাওয়া গিয়েছে। তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনেই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নবাব সিং সাইনি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, “হরিয়ানায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কোনও স্থান নেই এবং দ্রুত রাজ্য থেকে তাদের বার করার প্রক্রিয়া চলছে।”
এরপরই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের সুরক্ষায় সমস্যা সৃষ্টি করা ব্যক্তিদের প্রতি সহানুভূতি দেখানো কেবলমাত্র দুর্ভাগ্যজনকই নয়, বরং রাষ্ট্র কল্যাণের পরিপন্থী। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় যে একজন মুখ্যমন্ত্রী তোষণ এবং ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করার জন্য এমন স্তরে নেমে এসেছেন যে আজ দেশের সুরক্ষার সঙ্গে ছেলেখেলা করছেন। ভারতের একতা ও সার্বভৌমত্ব এবং সংবিধানের বিরুদ্ধে কোনও অন্যায় হরিয়ানা এবং দেশ গ্রহণ করবে না। আমাদের জন্য দেশের কল্যাণ সর্বোপরি এবং সবসময় তাই থাকবে।”
हरियाणा में बांग्लादेशी घुसपैठियों के लिए कोई स्थान नहीं है, उन्हें जल्द से जल्द प्रदेश से बाहर निकाला जा रहा है।
पश्चिम बंगाल की मुख्यमंत्री ममता बनर्जी का देश की सुरक्षा में सेंध लगाने वाले लोगों के प्रति सहानुभूति दिखाना न केवल दुर्भाग्यपूर्ण है, बल्कि राष्ट्रीय हितों के… https://t.co/htKsaj227h
— Nayab Saini (@NayabSainiBJP) July 26, 2025
প্রসঙ্গত, বিগত প্রায় এক মাস ধরেই রাজ্যের শাসক দল দাবি করছে, ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হচ্ছে বাঙালি শ্রমিকরা। বাংলা বললেই তাদের বাংলাদেশি ভেবে আটক করা হচ্ছে, বৈধ নথি দেখানো সত্ত্বেও তাদের জোর করে বাংলাদেশে পুশব্যাক করার ঘটনাও সামনে এসেছে। এই নিয়ে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ভাষা আন্দোলনে নামার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়েও তিনি বিএসএফের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বারবার, কারণ সীমান্তে পাহারা দিচ্ছেন তারা। এমনকী, নাম না করে শেখ হাসিনাকে ভারত সরকারের আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গও টেনে এনেছিলেন তিনি।