টলতে টলতে রোজ আসত, সেদিনও হাত থেকে কেড়ে নিয়েছিল চাবি, তারপরও এড়ানো যায়নি অঘটন
Haryana School Bus Accident: বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ধর্মেন্দ্র নামক ওই বাসচালক প্রায় রোজদিনই মদ্যপ অবস্থায় আসত। বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনা হতে হতে বাঁচে। বৃহস্পতিবারও ধর্মেন্দ্র যখন মদ্যপ অবস্থায় এসেছিল, তখন গ্রামবাসীরা তাঁর কাছ থেকে চাবি কেড়ে নেয়। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ চালক বদলানোর আশ্বাস দিলে চাবি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
চণ্ডীগঢ়: একবার-দুবার নয়, প্রায়দিনই স্কুল বাসের চালক আসতেন মদ্যপ অবস্থায়। রাতের নেশার ঘোর যে তাঁর কাটত না সকালে, তা বাস চালানোর ধরন দেখেই বুঝতে পেরেছিলেন অভিভাবকরা। স্কুলে অভিযোগও জানানো হয়েছিল, কিন্তু আশ্বাসই সার। লাভ হয়নি কোনও, বদল হয়নি বাস চালক। এমনকী বৃহস্পতিবার গ্রামবাসীরা বাসের চাবিও কেড়ে নিয়েছিলেন। তারপরও টনক নড়েনি স্কুল কর্তৃপক্ষের। তাদের অবহেলাতেই অকালে চলে গেল ৬টি তরতাজা প্রাণ।
বৃহস্পতিবার সকালে হরিয়ানার মহেন্দ্রগড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। গাছে ধাক্কা মেরে উলটে যায় একটি স্কুল বাস। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৬ পডুয়ার। গুরুতর আহত হয়েছে আরও ২০ জন পড়ুয়া। দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয় বাস চালককে। মেডিক্যাল পরীক্ষা করে জানা যায়, দুর্ঘটনার সময় চালক নেশায় চুর ছিলেন। পরে গাফিলতির অভিযোগে স্কুলের প্রিন্সিপাল ও আরও একজন আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়।
যে রুট দিয়ে রোজ স্কুলবাসটি যেত, সেখানের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ধর্মেন্দ্র নামক ওই বাসচালক প্রায় রোজদিনই মদ্যপ অবস্থায় আসত। বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনা হতে হতে বাঁচে। বৃহস্পতিবারও ধর্মেন্দ্র যখন মদ্যপ অবস্থায় এসেছিল, তখন গ্রামবাসীরা তাঁর কাছ থেকে চাবি কেড়ে নেয়। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ চালক বদলানোর আশ্বাস দিলে চাবি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরই বাসটি নিয়ে সোজা গাছে ধাক্কা মারে চালক। সংঘর্ষের অভিঘাতে উল্টে যায় বাস। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৬ পড়ুয়ার।
শুধু গ্রামবাসীরাই নন, স্কুল পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও জানিয়েছেন, তারা স্কুলে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবারও ফোন করে অভিযোগ করা হয় যে ধর্মেন্দ্র আবার মদ্যপ অবস্থায় এসেছে।
ইদের দিন সরকারি ছুটি থাকা সত্ত্বেও কেন স্কুল খোলা রাখা হয়েছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। চার সদস্যের একটি প্যানেল গঠন করা হয়েছে গোটা ঘটনার তদন্ত করার জন্য। জানা গিয়েছে, বাসের ফিটনেস সার্টিফিকেটের মেয়াদও ২০১৮ সালেই উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। এরপরও বাসটি চালু রাখায় স্কুল কর্তৃপক্ষকেই দোষারোপ করা হয়েছে। স্কুলের লাইসেন্সও বাতিল করে দেওয়ার দাবি উঠেছে।