কর্নলে কৃষক সভার আগেই জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা, মহাপঞ্চায়েতের পিছনে কি রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও?

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Sep 06, 2021 | 7:38 AM

গত ২৮ অগস্টের সংঘর্ষের কথা মাথায় রেখেই হরিয়ানার কর্নলে জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।

কর্নলে কৃষক সভার আগেই জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা, মহাপঞ্চায়েতের পিছনে কি রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও?
রবিবারের মহাপঞ্চায়েতে কৃষকদের ভিড়। ছবি:PTI

Follow Us

কর্নল: মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ঘিরে যে স্থানে সংঘর্ষ বেঁধেছিল, সেখানেই মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করতে চায় আন্দোলনকারী কৃষকরা। মঙ্গলবারই এই মহাপঞ্চায়েত হওয়ার কথা, কিন্তু গত ২৮ অগস্টের সংঘর্ষের কথা মাথায় রেখেই হরিয়ানার কর্নলে জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। অন্যদিকে, মুজাফ্ফরনগরের মহাপঞ্চায়েত নিয়েও বিজেপি দাবি, কৃষকরা নয়, আসলে ওই সভার আয়োজন করেছিল পঞ্জাব ও হরিয়ানার রাজনৈতিক দলের নেতারা।

গত ২৮ অগস্ট হরিয়ানার কর্নলে একটি দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। সেই বৈঠক ঘিরেই প্রতিবাদ করছিল কৃষকরা। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে রাখলেও বৈঠক ঘিরে অশান্তির আশঙ্কাতেই ঘটনাস্থানে আসেন কর্নলের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট আয়ুষ সিনহা। সেখানেই তিনি নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে পুলিশকে নির্দেশ দেন, কৃষকরা যেন কোনওমতেই ব্যারিকেড টপকে এগোতে না পারে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা যায়, “খুব সোজা কথা বলছি। যেই হোক না কেন, যেখান থেকেই আসুক না কেন, কাউকে যেন এই ব্যারিকেড টপকে ভিতরে আসতে না দেওয়া হয়। কোনও নির্দেশের অপেক্ষা করতে হবে না, হাতে লাঠি নিন এবং মেরে মাথা ফাটিয়ে দিন। আমি যদি একজন আন্দোলনকারীকেও দেখতে পাই, তবে তার মাথা যেন ফাটিয়ে দেওয়া হয়।”

এই মন্তব্যের পরই আয়ুষ সিনহাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর মন্তবেযের সমালোচনা করলেও পরোক্ষে ওই সরকারি কর্মচারীকেই সমর্থন জানান। সাংবাদিক বিবৃতি প্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন,”ওই অফিসারের শব্দচয়ন ভুল হলেও রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর পদক্ষেপ নিতেই হবে।”

এ দিকে,  ওই এসডিএমের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি তোলে আন্দোলনকারী কৃষকরা। ওই এসডিএমের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ যাতে দায়ের করা হয়, সেই দাবিতেও ৬ সেপ্টেম্বর অবধি তারা সময় দিয়েছিল রাজ্য প্রশাসনকে। এই সময়ের মধ্য়ে তাদের দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফেও একটি বিবৃতি প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করা হয়।  তারা বলেন, “যেভাবে মুখ্য়মন্ত্রী একজন খুনি অফিসারকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন, তা অত্য়ন্ত লজ্জাজনক। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি।”

অন্যদিকে, রবিবারই উত্তর প্রদেশের মুজাফ্ফরনগরে কৃষকদের মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ১১৫ টি রাজ্য় থেকে কয়েক হাজার কৃষক যোগ দিয়েছিল। তাদের খাবারের জন্যও শতাধিক লঙ্গরের ব্য়বস্থা করা হয়েছিল। ওই সভা থেকেই কৃষক নেতা রাকেশ তিকাইত “মিশন উত্তর প্রদেশ-উত্তরাখণ্ড”-র ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছর উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কৃষকরা বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার চালাবে। বাদ যাবে না উত্তরাখণ্ডও। উত্তর প্রদেশের বাকি জেলাগুলিতেও মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তাঁর নামেই প্রচার চালানোর কথাও বলেন রাকেশ তিকাইত। এ দিকে, উত্তর প্রদেশ বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। পঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজনৈতিক কর্মীরাও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এই রাজনৈতিক দলগুলিই নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কৃষকদের ব্য়বহার করছে বলে দাবি করেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অলোক অবস্তি। আরও পড়ুন: আজ দিল্লিতে ইডি-র ফেস টু ফেস! দুর্নীতি প্রমাণের চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন অভিষেক

Next Article