AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আজ দিল্লিতে ইডি-র ‘ফেস টু ফেস’! দুর্নীতি প্রমাণের চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন অভিষেক

Coal Scam Case: রবিবারই বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে অভিষেক বলে গিয়েছেন, "আমার পিছনে ইডি-সিবিআই লাগানোর প্রয়োজন নেই। দশ পয়সার দুর্নীতিও যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে, তাহলে ফাঁসি মঞ্চে দাঁড়াব।"

আজ দিল্লিতে ইডি-র 'ফেস টু ফেস'! দুর্নীতি প্রমাণের চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন অভিষেক
ফাইল ছবি
| Edited By: | Updated on: Sep 06, 2021 | 8:49 AM
Share

নয়া দিল্লি: রবিবারই দিল্লির উদ্দেশে উড়ে গিয়েছিলেন তিনি। আজ দিল্লিতে খান মার্কেটে ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

রবিবারই বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে অভিষেক বলে গিয়েছেন, “আমার পিছনে ইডি-সিবিআই লাগানোর প্রয়োজন নেই। দশ পয়সার দুর্নীতিও যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে, তাহলে ফাঁসি মঞ্চে দাঁড়াব।” তবে কলকাতার কেসে দিল্লিতে তলব নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। এর পিছনে প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনীতিই কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

রবিবার বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরেই তিনি বলেন, “বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা পাঁচ মিনিটের জন্যও যদি আমার সঙ্গে বসেন, তাহলে গত পাঁচ বছরে কোন কেন্দ্রীয় সংস্থা কীভাবে কাজ করেছে আমি সব দেখিয়ে দেবো। আর তা যদি প্রমাণ করতে না পারি তো রাজনীতি ছেড়ে দেবো।”

১ সেপ্টেম্বর অভিষেক-পত্নী রুজিরা নারুলাকেও ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি রুজিরা। কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন রুজিরা। কিন্তু অভিষেক সে পথে হাঁটেন নি। ররিবারই তিনি দিল্লি উড়ে গিয়েছেন।

উল্লেখ্য, কয়লা-কাণ্ডে ফের সক্রিয় হয়েছে ইডি। সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে ইডি। আগামী ১ সেপ্টেম্বর অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা এবং ৬ সেপ্টেম্বর অভিষেককে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সরব হন তৃণমূল নেতারা। আর তার প্রেক্ষিতে আগে অভিষেকের মুখে শোনা যায় আক্রমণের সুরও।

ইডি-র এই তলব প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর অভিযোগ রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পেরে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। এবার একই প্রসঙ্গে সিবিআই, ইডি-র বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করে এবং কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এহেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এর আগে আক্রমণ করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। অভিযোগ, অভিষেক ও তাঁর স্ত্রীকে তো বটেই, তৃণমূলের সর্বসাধারণ সম্পাদকের কলেজের বন্ধুদের কাছেও পৌঁছে যাচ্ছে সিবিআই এবং ইডি। এবং গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসাবে অবহিত করেছেন সুখেন্দু শেখর। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, একাধিক ফৌজদারি মামলা থাকা সত্ত্বেও অসমের হেমন্ত বিশ্বশর্মা বা বাংলার শুভেন্দু অধিকারীর মতো বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

এদিকে, আজই ভবানীভবনে সিআইডির মুখোমুখি হবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রাক্তন দেহরক্ষীর রহস্যমৃত্যুতে তাঁকে প্রশ্ন করা হবে। ইতিমধ্যেই প্রশ্নমালা তৈরি করে রেখেছেন তদন্তকারীরা। হাতে রয়েছে বিশেষ এক বয়ানও। এক এএসআই শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর কাছেই মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দিয়েছিলেন ওই দেহরক্ষী। সেই এএসআই-এর বয়ান সিআইডি-র অন্যতম হাতিয়ার। আরও পড়ুন: ‘দস্যু রত্নাকর’ থেকে ওঁরা আজ ‘মাস্টার মশাই’, শিক্ষক দিবসে সংবর্ধনা দিল প্রেসিডেন্সি জেল