সঞ্জয়ের শাস্তি থেকে চাকরি বাতিল, ২০২৫-এ সাড়া ফেলা পাঁচ রায়
2025 Big Verdicts: দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার সব পথকুকুরকে লোকালয় থেকে সরানোর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের চাকরি বাতিলের মামলাতেও বড় রায় দেয় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম রায়েই একধাক্কায় রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়। বছরভর কোন কোনও মামলা রইল নজরে।

সঞ্জয় রায়ের শাস্তি
২০২৪ উত্তাল হয়েছিল আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায়। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে কর্তব্যরত চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার পরই গ্রেফতার হন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। ২০২৫-এর শুরুতেই সেই সঞ্জয়ের শাস্তি ঘোষণা করে আদালত। শিয়ালদহ অতিরিক্ত দায়রা আদালত সঞ্জয়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়।
২৬,০০০ চাকরি বাতিল
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বড় রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ২০২৫-এর ৩ এপ্রিল নজিরবিহীন রায়ে এসএসসির ২৫,৭৩৫ চাকরি বাতিল করে হয়ে যায়। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ ২০১৬ সালের নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয়। রাতারাতি চাকরি হারান বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী। সঠিক তথ্য না থাকায় যোগ্য এবং অযোগ্যদের পৃথকীকরণ করা সম্ভব হয়নি। তাই পুরো প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম নির্দেশ মেনে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আরাবল্লী রায়
এক নজিরবিহীন রায়ে আরাবল্লী পাহাড়ের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। বলা হয়, ভূপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ১০০ মিটারের বেশি হলে তবেই সেই পাহাড়কে আরাবল্লী শ্রেণীর অংশ হিসেবে ধরা হবে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের প্রস্তাবেই সিলমোহর দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দেখা যায়, ওই রায় কার্যকর হলে পর্বতশ্রেণির ৯০ শতাংশই সংরক্ষণ বিধির বাইরে চলে যাবে। ফলত, খননকার্যে কোনও বাধা থাকবে না। শুরু হয় বিতর্ক। এবার প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত এই বিতর্কের বিষয়ে শুনানি করবেন।
পথকুকুরদের নিয়ে সুপ্রিম-রায়
দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার সব পথকুকুরকে লোকালয় থেকে সরানোর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে উল্লেখ করা হয়, কোনও পশুপ্রেমী সংস্থা এই নির্দেশের বিরোধিতা করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরে দেশ জুড়ে বিতর্ক শুরু হলে সেই রায়ে বদল আনে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানায়, যে সব কুকুর জলাতঙ্কে আক্রান্ত বা আক্রমণাত্মক আচরণ করছে, তাদের টিকা দিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রেই রাখতে হবে।
৩২,০০০ চাকরি বহাল
বছরের শুরুতে হাজার হাজার চাকরি বাতিল হলেও, বছরের শেষে প্রাথমিক নিয়োগ মামলার রায়ে বহাল থাকল ৩২ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি। সিঙ্গল বেঞ্চের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। ২০২৩ সালে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশিক্ষণহীন প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
