Hijab Row: ভোট দিতে গেলেও খুলতে হবে হিজাব! বিজেপি বুথকর্মীর দাবি ঘিরে বিতর্ক

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Feb 20, 2022 | 2:23 PM

Hijab Row: একটি কেন্দ্রে কয়েকজন মুসলিম মহিলা ভোট দিতে গেলে, তাঁকে বাধা দেন বিজেপির বুথ কর্মী। তাদের বলা হয় যে, ভোট দিতে গেলে তাদের হিজাব খুলতে হবে। ভোটাররা হিজাব খুলতে অস্বীকার করলেই বিতর্ক শুরু হয়।

Hijab Row: ভোট দিতে গেলেও খুলতে হবে হিজাব! বিজেপি বুথকর্মীর দাবি ঘিরে বিতর্ক
পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসা বিজেপি বুথকর্মীর। ছবি:টুইটার

Follow Us

চেন্নাই: কর্নাটকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক (Hijab Controversy)। এবার তার আঁচ পৌঁছল তামিলনাড়ু(Tamil Nadu)-তেও। শনিবারই তামিলনাড়ুতে পঞ্চায়েত নির্বাচন ছিল। সেখানেই একটি কেন্দ্রে কয়েকজন মুসলিম মহিলা ভোট দিতে গেলে, তাঁকে বাধা দেন বিজেপির বুথ কর্মী (BJP Booth Agent)। তাদের বলা হয় যে, ভোট দিতে গেলে তাদের হিজাব খুলতে হবে। ভোটাররা হিজাব খুলতে অস্বীকার করলেই বিতর্ক শুরু হয়। এরপরই বড়সড় বচসা শুরু হয়। শেষে পুলিশ এসে পরিস্থিতির সামাল দেয়।

জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর মেলুরের একটি ভোটকেন্দ্রে এই ঝামেলার সূত্রপাত হয়। কয়েকজন হিজাব পরিহিত কয়েকজন মহিলা ভোট দিতে এলে তাদের বাধা দেন বিজেপির বুথ এজেন্ট গিরিরাজন। আল আমিন স্কুলের ওই বুথে ভোট দিতে আসা হিজাব পরিহিত মহিলাদের তিনি বলেন যে, বুথে প্রবেশ করার আগে হিজাব খুলে রাখতে। কিন্তু ওই মহিলারা তা মানতে অস্বীকার করলেই বচসা শুরু হয়।

ওই বুথেই উপস্থিত ডিএমকে ও এআইডিএমকের বুথ এজেন্টরা ওই মুসলিম মহিলাদেরই সমর্থন করেন এবং গিরিরাজনকে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার দাবি জানান। এরপরই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষ অবধি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা এসে পরিস্থিতির সামাল দেন এবং গিরিরাজন ও অন্যান্য বুথ কর্মীদের শান্ত হতে বলেন।

ওই বিজেপি কর্মী তথা বুথ এজেন্ট গিরিরাজনের দাবি, হিজাব পরে থাকায় ভোট দিতে আসা মহিলাদের চিনতে সমস্যা হচ্ছিল। যাতে ভোটে কোনও কারচুপি না হয়, সেই কারণেই ভোট দিতে আসা ওই মহিলাদের হিজাব খুলতে বলেন। কিন্তু ওই মহিলারা মুখ দেখাতে অস্বীকার করেন। এই নিয়েই বচসা বাধে।

শেষ অবধি পুলিশকর্মীরা ওই বিজেপি বুথকর্মীকে বের করে দেওয়ার পর ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই কর্নাটকের উদুপিতে একটি সরকারি কলেজে হিজাব পরে আসায় ৬ ছাত্রীকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এরপরই বিতর্ক শুরু হয়। এরপর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেও একই বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। গোটা বিষয়টি হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট অবধি গড়ায়। বর্তমানে কর্নাটক হাইকোর্টেই এই মামলার শুনানি চলছে।

আরও পড়ুন: Punjab Assembly Election 2022: ভোটের আগেই গুরুদ্বারে মুখ্যমন্ত্রী, বললেন ‘যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি’ 

আরও পড়ুন: Sonia Gandhi to Call Opposition Meeting: ভোটের ফল বেরলেই বিরোধীদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন সনিয়া, ডাক পাবে তৃণমূল? 

Next Article