কত টাকা ট্যাক্স দেন ? আয়ই বা কত? জন্মভূমিতে জানালেন রাষ্ট্রপতি
Ramnath Kovind: তাঁর জন্মভূমির পাশেই ঝিনঝাক শহর। সেখানেই সকলের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি সঠিক কর দেওয়ার বার্তা দেন।
নয়া দিল্লি: দেশের উন্নতির জন্য কর দেওয়া উচিত। তাই নিজের জন্মভূমিতে দাঁড়িয়ে সকলকে কর দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind)। নিজের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “আমিও কর দিই। আর কর দেওয়ার পর প্রতি মাসে আমার কাছে যা বেঁচে থাকে, তার থেকে অনেকেরই আয় বেশি।” ৩ দিনের জন্য উত্তর প্রদেশ গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তাঁর জন্মভূমির পাশেই ঝিনঝাক শহর। সেখানেই সকলের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি সঠিক কর দেওয়ার বার্তা দেন।
রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি মাসে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার কর দেন। তিনি বলেন, “অনেকেই বলেন আমি মাসে ৫ লক্ষ টাকা আয় করি, কিন্তু মাসে ৫০ শতাংশ টাকা করও দিই। রাষ্ট্রপতি দেশের সবচেয়ে বেশি বেতন পান তাঁকেও কর দিতে হয়।” পাশাপাশি রেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনার বিরোধিতা করে তিনি জানান, লোকে ভাবে এগুলো সরকারি সম্পত্তি। কিন্তু আসলে এগুলো করের টাকা।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই প্রথম নিজের জন্মভিটেতে ফিরলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind)। সেখানে হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল। গ্রামের বাড়ির পাশে হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে নেমেই ভিটের মাটি কপালে ঠেকান রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির অফিসের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে সেই ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, “জন্মভিটেকে সম্মান জানাতে আবেগপ্রবণ হয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি।”
গ্রামের জনঅভিনন্দন অনুষ্ঠানে করোনা প্রতিষেধক নেওয়ায় সকলকে উৎসাহিত করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি বলেন, “উত্তর প্রদেশে টিকাকরণ চলছে। টিকাই করোনা যুদ্ধে শিল্ডের মতো। তাই সকলে ভ্যাকসিন নিন, অন্যদের টিকা নিতে উৎসাহিত করুন।” নস্টালজিক হয়ে রামনাথ কোবিন্দ বলেন, “এই মাটির গন্ধ, স্মৃতি সব আমার বুকে আছে। আমি কোনও দিন স্বপ্নেও ভাবিনি আমার মতো সাধারণ মানুষ দেশের সর্বোচ্চ অফিসে থাকবে। আমাদের গণতান্ত্রিক তা করে দেখিয়েছে।”