Osama Bin Laden: লাদেনের বুদ্ধিতে বোকা হয়ে গিয়েছিল CIA-ও! ৯/১১ হামলার পর কীভাবে পালিয়েছিল, এতদিন বাদে সত্যি সামনে এল…

9/11 Attack: প্রাক্তন সিআইএ অফিসার জন কিরিয়াকু জানান, সেন্ট্রাল কম্যান্ডের যিনি কম্যান্ডার ছিলেন, তার অনুবাদক বা ট্রান্সলেটর আসলে আল কায়েদার এক সদস্য ছিলেন, যিনি মার্কিন সেনার যাবতীয় গোপন তথ্য ফাঁস করে দিতেন। এই বিষয়ে কেউ জানতই না।   

Osama Bin Laden: লাদেনের বুদ্ধিতে বোকা হয়ে গিয়েছিল CIA-ও! ৯/১১ হামলার পর কীভাবে পালিয়েছিল, এতদিন বাদে সত্যি সামনে এল...
ওসামা বিন লাদেন।Image Credit source: PTI

|

Oct 25, 2025 | 1:30 PM

ওয়াশিংটন: ওসামা বিন লাদেন (Osama Bin Laden)। তার জীবন-মৃত্যু, সব ঘিরেই রহস্য। এবার প্রাক্তন সিআইএ অফিসার জন কিরিয়াকু আল কায়েদার (Al Qaeda) প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য সামনে আনলেন। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, আমেরিকায় ৯/১১ হামলার পর কীভাবে ওসামা বিন লাদেন পালিয়ে গিয়েছিলেন, তা সামনে আনলেন। জানালেন, মহিলার ছদ্মবেশে টোরা বোরা হিলস থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন লাদেন। 

সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন সিআইএ অফিসার জন কিরিয়াকু এই সকল চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনেন। তিনি ১৫ বছর ধরে সিআইএ-র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পাকিস্তানে কাউন্টার টেররিজম অপারেশনের প্রধান দায়িত্বে ছিলেন। তিনি জানান, সেন্ট্রাল কম্যান্ডের যিনি কম্যান্ডার ছিলেন, তার অনুবাদক বা ট্রান্সলেটর আসলে আল কায়েদার এক সদস্য ছিলেন, যিনি মার্কিন সেনার যাবতীয় গোপন তথ্য ফাঁস করে দিতেন। এই বিষয়ে কেউ জানতই না।   

তিনি বলেন, “সক্রিয় হওয়ার বদলে আমেরিকা প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল। মনে করবেন, আমরা এক মাস অপেক্ষা করেছিলাম আফগানিস্তানের উপরে বোমাবর্ষণ শুরু করার আগে। আমরা আবেগকে নিজেদের বিচারবুদ্ধিকে প্রভাবিত করতে দেয়নি। আমরা এক মাস অপেক্ষা করেছিলাম সঠিক প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। এরপরে আমরা আল কায়েদার ঘাঁটিতে হামলা শুরু করি। তাও মূলত দক্ষিণ ও পূর্ব আফগানিস্তানের পাস্তো এলাকাতেই হামলা চালিয়েছিলাম। আমরা বিশ্বাস করি যে ২০০১ সালের অক্টোবরে আমরা ওসামা বিন লাদেন ও আল কায়েদার অন্যান্য শীর্ষনেতাদের টোরা বোরায় কার্যত একঘরে করে ফেলেছিলাম।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা জানতাম না যে সেন্ট্রাল কম্যান্ডের কম্যান্ডারের অনুবাদক আসলে আল কায়েদার অপারেটিভ ছিল, যে মার্কিন মিলিটারিতে ঘাপটি মেরে ছিল। তাই আমরা ভেবেছিলাম যে লাদেনকে আমরা মুঠোয় আনতে পেরেছি। ওকে (লাদেন) পাহাড় থেকে নেমে আসতে বলি। ওঁ বলেছিল যে বিকেল অবধি সময় দিতে। মহিলা ও শিশুদের সুরক্ষিতভাবে বের করে আনার পর আমরা আত্মসমর্পণ করব। ট্রান্সলেটরও জেনারেল ফ্রাঙ্ককে এই প্রস্তাবে রাজি করায়। লাদেন মহিলা সেজে পালিয়ে যায় এবং রাতের অন্ধকারে একটি পিক আপ ট্রাকের পিছনে চেপে পাকিস্তানে পালিয়ে যায়।”

প্রাক্তন সিআইএ কর্তা জানান, সূর্যাস্তের পর আমরা যখন টোরা বোরায় যাই, তখন আত্মসমর্পণের জন্য কেউ ছিল না। সবাই পালিয়ে গিয়েছিল। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে যেতে হয়।

প্রসঙ্গত, ৯/১১ হামলায় ৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এরপরে টোরা বোরায় লাদেনকে ধরার সমস্ত ব্যবস্থা করে ফেললেও, শেষে মার্কিন সেনা ও গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিয়ে লাদেন পাকিস্তানে পালিয়ে যায়। পরে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে ওসামা বিন লাদেনের হদিস পায় আমেরিকা। ২০১১ সালের ২ মে লাদেনের সেফ হাউসে রাতের অন্ধকারে অভিযান চালিয়ে লাদেনকে খতম করে মার্কিন সেনা।