PM Narendra Modi: কেন ক্লান্ত হন না মোদী! দীর্ঘ বিমান সফর, ম্যারাথন বৈঠক, সামনে এল আসল গোপন রহস্য
Narendra Modi: সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে আমেরিকা সফর করেছেন, তিনদিনের সফরে প্রায় ৬৫ ঘণ্টায় কমবেশি ২০টি বৈঠকে অংশ নেন।
নয়া দিল্লি: হাতে মাত্র তিনদিন সময়। এর মধ্যেই দীর্ঘ বিমান যাত্রায় আমেরিকা সফর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi)। যা নিয়ে রীতিমতো আলোচনা হচ্ছে। দেশে ফিরেও একের পর এক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই ‘হাই লেভেল এনার্জি’ সত্যিই ঈর্ষনীয়। কিন্তু কী ভাবে এই কর্মক্ষমতা তিনি পান, তা নিয়েও উৎসাহের অন্ত নেই। কোনও ‘জেট ল্যাগ’-এর চিহ্ন নেই নমোর শরীরে! এবার সামনে এল সেই রহস্যেরই জবাব।
বিশেষ সূত্রে খবর, যখন তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমান সফর করেন তখন বিশেষ পন্থা অবলম্বন করেন নরেন্দ্র মোদী। সহজ কথায় বলতে গেলে ‘ট্রিক্স’। প্রচুর কাজ নিয়ে বিমানে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন নমো। কাজে এতটাই ডুবে থাকেন যে, ক্লান্তি কিংবা ‘জেটল্যাগ’-এর কথা মাথায়ই আসে না।
বিশেষ ওই সূত্রের দাবি, “১৯৯০ সাল নাগাদ যখন উনি আমেরিকায় যেতেন একটি এয়ারলাইন বেশ ছাড়ে বিশেষ মাসিক ট্র্যাভেল পাস দিত। এর সুবিধা নিতে মোদী সবসময় রাতে সফর করতেন। কারণ তাতে এটা অন্তত এটা নিশ্চিত করা যেত, বিভিন্ন জায়গায় হোটেল খরচ না করেই বেশি জায়গায় সফর করা যাবে। সে সময় অধিকাংশ রাতই তিনি বিমান বা বিমানবন্দরে কাটাতেন।”
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী যখনই বিমানে ওঠেন, সেখানে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে নিজের শরীর ও ঘুমের চক্রকেও গন্তব্যের টাইম জো়নের সঙ্গে সুন্দর ভাবে মিলিয়ে নেন। যাকে বলা যায় ‘ফাইন টিউন’। অর্থাৎ ভারতে রাতের বিমানে উঠলেও যে দেশে যাচ্ছেন সেখানে যদি সে মুহূর্তে সময় দিন হয়, তা হলে তিনি কোনও ভাবেই ঘুমোবেন না। আবার ভারতে ফেরার সময়ও একই জিনিস করেন তিনি। শরীর ও ঘুমের চক্রকে ভারতীয় সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে নেন। তিনি সবসময় নিজেকে প্রাণবন্ত, কর্মব্যস্ত রাখতে পছন্দ করেন বলে ওই সূত্রের দাবি।
এমনকী বিমান যাত্রার সময় নরেন্দ্র মোদী প্রচুর পরিমাণে জল পান করেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই এটা করেন তিনি। কারণ, ডাক্তাররা বলেন, বিমানে ওঠানে মাত্র ময়েশ্চার কমতে শুরু করতে। সে ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে জল পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে আমেরিকা সফর করেছেন, তিনদিনের সফরে প্রায় ৬৫ ঘণ্টায় কমবেশি ২০টি বৈঠকে অংশ নেন। দীর্ঘ বিমান যাত্রা করে এত দূর সফরের কম ব্যাক টু ব্যাক এমন ঠাসা কর্মসূচি মোটেই সহজ কথা নয়।