Sidhu Moosewala Murder: ৩০টি গুলিতে ঝাঁঝরা, তারপরও কি বেঁচেছিলেন গায়ক সিধু? প্রকাশ্যে নয়া তথ্য
Sidhu Moosewala Murder: গুরবিন্দর সিং জানান, আততায়ীরা তিনদিক থেকে জিপ গাড়িটি ঘিরে গুলি চালাচ্ছিল। প্রাণ বাঁচাতে সিধু গাড়ি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পালাতে পারেননি।
নয়া দিল্লি: একের পর এক গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছিল পঞ্জাবী গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালাকে (Sidhu Moosewala)। মঙ্গলবারই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে সিধু মুসেওয়ালার। আর তারপরই সিধুর মৃত্যু নিয়ে একাধিক চাঞ্চল্য সামনে এল তদন্তে। কীভাবে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তার বিস্তারিত তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, সাদা রঙের মাহিন্দ্রা থর এসইউভিতে চেপে বারনালা জেলায় পিসির বাড়িতে যাচ্ছিলেন সিধু। সেই সময়ই প্রকাশ্যে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন সিধু মুসেওয়ালা ও তাঁর বন্ধু গুরবিন্দর সিং, গুরপ্রীত সিং ছিলেন গাড়িতে। সিধু মুসেওয়ালা ও গুরপ্রীত সিং গাড়ির সামনের সিটে বসেছিলেন। পিছনের সিটে বসাছিলেন গুরবিন্দর সিং। ওই গাড়িতে পাঁচজনের বসতে সমস্যা হবে, সেই কারণেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই কম্যান্ডোকে সঙ্গে নেওয়া হয়নি। সিধু মুসেওয়ালা তাঁর পিসির গ্রামে পৌঁছতেই হঠাৎ পিছন থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। চোখের পলক পড়তে না পড়তেই আরেকটি গাড়ি সামনে থেকে রাস্তা আটকে দাঁড়ায়।
সামনের গাড়ি থেকে নেমে আসেন এক ব্যক্তি, তাঁর হাতে ছিল অটোমেটিক অ্যাসল্ট রাইফেল। মুসেওয়ালাকে গাড়ির ভিতরে দেখতে পেয়েই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে অভিযুক্ত। সিধু মুসেওয়ালার কাছেও ওকটি পিস্তল ছিল, তিনি ওই পিস্তল থেকে দুই রাউন্ড গুলি চালান। পুলিশি তদন্তে পরে গাড়ি থেকে ওই পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়।
গুরবিন্দর সিং জানান, আততায়ীরা তিনদিক থেকে জিপ গাড়িটি ঘিরে গুলি চালাচ্ছিল। প্রাণ বাঁচাতে সিধু গাড়ি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পালাতে পারেননি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ জন হামলা চালিয়েছিল। কমপক্ষে ৩০ বার গুলি চালানো হয়েছিল সিধুর উপরে। এতবার গুলি চালানোর পরও আততায়ীরা নিশ্চিত হওয়ার জন্য সামনে এসে পরীক্ষা করে দেখেন যে সত্যিই বছর ২৮-র ওই সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যু হয়েছে কি না।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া বুলেট পরীক্ষা করে জানানো হয়েছে, এএন ৯৪ রাশিয়ান অ্যাসাল্ট রাইফেল দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পঞ্জাব পুলিশের তরফে খুন ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিধুর বাবা অভিযোগ করেছেন যে, একাধিক গ্যাংস্টাররা হুমকি দিচ্ছিল।