Nishikant Dubey: ‘যারা জাতপাতে বিশ্বাসই করে না, তাদের আপনারা সংরক্ষণ দেবেন?’

Nishikant Dubey on caste census: জাতি ভিত্তিক জনগণনা নিয়ে ফের বিজেপির আক্রমণের মুখে রাহুল গান্ধী। বাজেটে ওবিসিদের প্রতি অবিচার নিয়ে রাহুল গান্ধীর দাবিও উড়িয়ে দিয়ে নিশিকান্ত দুবে বলেছেন, দশকের পর দশক ধরে কংগ্রেস ওবিসিদের সংরক্ষণের বিরোধিতা করেছে।

Nishikant Dubey: 'যারা জাতপাতে বিশ্বাসই করে না, তাদের আপনারা সংরক্ষণ দেবেন?'
লোকসভায় রাহুল গান্ধীকে তীব্র আক্রমণ নিশিকান্ত দুবেরImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Aug 08, 2024 | 7:16 AM

নয়া দিল্লি: জাতি ভিত্তিক জনগণনা নিয়ে ফের বিজেপির আক্রমণের মুখে রাহুল গান্ধী। জাতিভিত্তিক জনগণনা করতে রাহুল গান্ধী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলে,সবার প্রথমে কর্নাটকে তা বাস্তবায়ন করা উচিত বলে মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। বাজেটে ওবিসিদের প্রতি অবিচার নিয়ে রাহুল গান্ধীর দাবিও উড়িয়ে দিয়ে নিশিকান্ত দুবে বলেছেন, দশকের পর দশক ধরে কংগ্রেস ওবিসিদের সংরক্ষণের বিরোধিতা করেছে। মধ্য প্রদেশ, বিহার বা উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যে কখনও কোনও ওবিসি নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করেনি। তাই তাদের মুখে ওবিসিদের কথা বেমানান।

মঙ্গলবার লোকসভায় বক্তৃতা দেন নিশিকান্ত দুবে। বিজেপি সাংসদ বলেন, “আমি কংগ্রেস এবং সমস্ত বিরোধীদের কাছ থেকে জানতে চাই, যাদের ধর্ম বা জাতে বিশ্বাস নেই, তাদের জন্য জাতিভিত্তিক জনগণনা কীভাবে করা হবে? ১৯৫২, ১৯৫৭, ১৯৬২, ১৯৬৯, ১৯৭১, ১৯৭৭, ১৯৮০, ১৯৮৪, ১৯৮৯ এবং ১৯৯১ সালের কংগ্রেসের ইস্তেহারে বলা হয়েছিল তারা ওবিসি সংরক্ষণের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস কখনও মধ্য প্রদেশে ওবিসি মুখ্যমন্ত্রী করেনি। উত্তর প্রদেশে দারোগা রাই ব্যতীত কোনও ওবিসিকে মুখ্যমন্ত্রী করেনি। দারোগা রাই যখন ওবিসিদের সংরক্ষণ দিয়েছিলেন, আপনারা তাঁকে সাইডলাইন করে দিয়েছিলেন।”

রাহুল গান্ধীকে চ্যালেঞ্জ করে বিজেপি সাংসদ জিজ্ঞেস করেন, ২০১১ সালে ইউপিএ সরকার কেন জাতিভিত্তিক জনগণনা করেনি? তিনি আরও প্রশ্ন করেন, কর্নাটকে ইতিমধ্যেই জাতি ভিত্তিক জনগণনার রিপোর্ট সাননে আসা সত্ত্বেও, কংগ্রেস সরকার কেন তার বাস্তবায়ন করছে না? নিশিকান্ত দুবে বলেন, “আপনি কেন ২০১১-তে ওবিসি সংরক্ষণ কার্যকর করতে পারলেন না? যদি আপনার শক্তি থাকে, তাহলে কর্নাটকে কেন আর্থ-সামাজিক সংরক্ষণ বাস্তবায়িত করা হয়নি? সেখানে আপনাদের সরকার গত দুই বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। এটা বাস্তবায়িত হয়নি, কারণ ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মে জাতের কোনও কথা নেই। আর আপনারা ব্যাকডোর দিয়ে ৮৬টি খ্রিস্টান জাত এবং ৫৬টি মুসলিম জাতকে ওবিসি সংরক্ষণ দিতে চান।”

বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্গদ্র মোদী এক অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মানুষ। একজন চা-বিক্রেতা। তিনি ওবিসি সরকার গঠনের কথা বলেছেন বলেই, বিরোধীরাও এখন ওবিসি নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী কৃষ্ণের মতো একটি অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করেছেন, এবং আপনাদের সব এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দল কৌরবদের মতো, ওবিসি…ওবিসি বলে চিৎকার করছে।”