Shah Rukh Khan: বৃদ্ধার পেটের ভাত জোগান শাহরুখ, অথচ বাদশাই জানেন না, পড়ুন সেই গল্প
Mannat: ফুটপাথে নানা জিনিস বিক্রি করেন ওই বৃদ্ধা। তিনি জানান, দুই বছর আগে একজন তাঁকে বলেছিলেন যে শাহরুখ খানের বাড়ির সামনে গিয়ে তাঁর জল বিক্রি করা উচিত। অনেক টাকা রোজগার হবে। প্রথমে ওই কথাকে মজাই ভেবেছিলেন তিনি। পরে ভাবেন, একবার চেষ্টা করতে ক্ষতি কী?
মুম্বই: বলিউডের প্রথম সুপারস্টার যদি রাজেশ খান্না হন, তবে শেষ সুপারস্টার শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)। এমনিতেই তাঁকে কিং খান বা বলিউডের ‘বাদশা’ বলা হয় না। প্রায় তিন দশক ধরে আট থেকে আশি-সকল দর্শকের মনে রাজত্ব করছেন তিনি। শাহরুখের হাত ধরে বলিউডে প্রবেশ করে অনেকেরই বদলে গিয়েছে ভাগ্য। কিন্তু পরোক্ষেও তিনি যে অনেকের ভাগ্য বদলেছেন, তা কী জানেন? না কোনও গল্প নয়। সত্যিই শাহরুখ খানের দৌলতে জীবন বদলে গিয়েছে মুম্বইয়ের এক বৃদ্ধার। কিং খান-ই তাঁর রুজিরুটির উৎস। অথচ বাদশা নিজেও জানেন না সে কথা।
গত ২ নভেম্বর ছিল শাহরুখ খানের জন্মদিন। সুপারস্টারের জন্মদিনেই এক বৃদ্ধার হৃদয়স্পর্শী কাহিনি তুলে ধরে ‘হিউম্যানস অব বম্বে’ নামক একটি পেজ। সেখানে ওই বৃদ্ধা জানিয়েছেন, কীভাবে শাহরুখ খানের দৌলতে দুই বছর আগে তাঁর জীবন বদলে গিয়েছিল।
ফুটপাথে নানা জিনিস বিক্রি করেন ওই বৃদ্ধা। তিনি জানান, দুই বছর আগে একজন তাঁকে বলেছিলেন যে শাহরুখ খানের বাড়ির সামনে গিয়ে তাঁর জল বিক্রি করা উচিত। অনেক টাকা রোজগার হবে। প্রথমে ওই কথাকে মজাই ভেবেছিলেন তিনি। পরে ভাবেন, একবার চেষ্টা করতে ক্ষতি কী? যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। শাহরুখের জন্মদিনে প্রচুর জলের বোতল নিয়ে হাজির হন তিনি। সেখানে গিয়ে তো অবাক। প্রায় লাখের কাছাকাছি মানুষ ভিড় জমিয়েছেন মন্নতের বাইরে।
প্রিয় তারকার এক ঝলক দেখার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতেও সমস্যা নেই তাঁদের। শাহরুখের নাম নিয়ে গলা ফাটাচ্ছেন সকলে। গলা তো শুকাবেই। আর তখনই প্রয়োজন জলের। ব্যস, দেখতে দেখতে মালামাল হয়ে গেলেন ওই বৃদ্ধা।
তাঁর কথায়, ওই দিনটা তাঁর জীবনের সবথেকে উল্লেখযোগ্য দিনগুলির মধ্যে একদিন ছিল। সারাজীবনেও তিনি দৈনিক এত টাকা উপার্জন করেননি আগে। এই সুবর্ণ সুযোগ আর হাতছাড়া করেননি তিনি। বারে বারে ফিরে গিয়েছেন শাহরুখের বাড়ির সামনে। কখনও জন্মদিন, কখনও আবার নতুন সিনেমার মুক্তি- যখনই গিয়েছেন, তাঁকে খালি হাতে ফিরতে হয়নি।