Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

গিজগিজে ভিড় ১২-১৩ নং প্ল্যাটফর্মে, শ্বাস নেওয়ারও জায়গা নেই! আবার পদপিষ্ট হওয়ার জোগাড় নয়া দিল্লি স্টেশনে

Stampede Like Situation: নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনের ১২ এবং ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বিপুল সংখ্যক যাত্রী জড়ো হয়েছিলেন। ট্রেন লেট থাকায় প্ল্যাটফর্মগুলিতে যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় হয়।

গিজগিজে ভিড় ১২-১৩ নং প্ল্যাটফর্মে, শ্বাস নেওয়ারও জায়গা নেই! আবার পদপিষ্ট হওয়ার জোগাড় নয়া দিল্লি স্টেশনে
নয়া দিল্লি রেলস্টেশনে ভিড়।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Mar 24, 2025 | 6:49 AM

নয়া দিল্লি: কুম্ভের ঘটনা থেকে শিক্ষা হয়নি। এক মাস কাটতে না কাটতেই ফের পদপিষ্ট হওয়ার জোগাড় নয়া দিল্লি রেল স্টেশনে। রবিবার রাতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয় নয়া দিল্লি রেল স্টেশনে। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ট্রেন দেরিতে চলায় যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় সৃষ্টি হয়। এক মাস আগেই নয়া দিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্ট হওয়ার যে ঘটনা ঘটেছিল, কার্যত সেই অবস্থাই তৈরি হয়। তবে এবারে বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।

জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে শিব গঙ্গা এক্সপ্রেস, স্বাধীন সেনানি এক্সপ্রেস, জম্মু রাজধানী এক্সপ্রেস, লখনউ মেল এবং মগধ এক্সপ্রেস লেট করেছিল। এর কারণে নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনের ১২ এবং ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বিপুল সংখ্যক যাত্রী জড়ো হয়েছিলেন। ট্রেন লেট থাকায় প্ল্যাটফর্মগুলিতে যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় হয়।

শিব গঙ্গা এক্সপ্রেস, যা নির্ধারিত সময়ের এক ঘন্টারও বেশি সময় দেরিতে ছেড়েছিল এবং মগধ এক্সপ্রেস তখনও প্ল্যাটফর্মে আসেনি। স্বাধীন সেনানি এক্সপ্রেস, যা ইতিমধ্যেই একটি প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল, তা মানুষের ভিড় আরও বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে জম্মু রাজধানী এক্সপ্রেস এবং লখনউ মেলও লেট করে। হাজার হাজার যাত্রী তাদের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করায়, প্ল্যাটফর্মগুলিতে ব্যাপক ভিড় হয়ে যায়।

কুম্ভমেলা চলাকালীন নয়া দিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছিল, যাতে বেশ কিছুজন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। ফের ওই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে দেখেই দ্রুত পদপিষ্ট করা হয় এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। অত্যাধিক ভিড় তৈরি হলেও, ভিড়ের চাপে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

রেল মন্ত্রকের তরফেও বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে যে নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে প্রচুর ভিড় হয়েছিল, তবে কোনও পদদলিত বা পদদলিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না। হোল্ডিং এলাকা থেকে অসংরক্ষিত যাত্রীদের নেওয়ার জন্য প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নয়া দিল্লি স্টেশনে একইভাবে ট্রেন দেরিতে আসায় এবং ঘোষণার ভুলে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ১৫ জন।