
নয়া দিল্লি: ‘উত্তর-পূর্ব শুধুমাত্র কোনও দিক নয়। এটা ক্ষমতা, শক্তিরও প্রতীক। বাণিজ্য থেকে ঐতিহ্য, বস্ত্র থেকে পর্যটন, উত্তর-পূর্বের বৈচিত্র্যই তার শক্তির উৎস।’ শুক্রবার নয়াদিল্লিতে আয়োজিত রাইজিং নর্থ-ইস্ট ইনভেস্টরস সামিটের মঞ্চে দাঁড়িয়ে এ কথা শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে। কীভাবে মোদী জমানায় গোটা উত্তর-পূর্বে উন্নয়ন যজ্ঞ চলছে তা তুলে ধরলেন উত্তর-পূর্বের জনসংযোগ ও উন্নয়ন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাঁর সাফ কথা, গত এক দশকে ৬.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের হাত ধরে উত্তর-পূর্ব কার্যত বিনিয়োগের বড়সড় ভরকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সবটাই হয়েছে মোদী সরকারের সময়কালে।
এদিন নয়া দিল্লির ভারত মণ্ডপমে বসেছে রাইজিং নর্থ-ইস্ট ইনভেস্টরস সামিট। সেখানে চাঁদের হাট। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি দেশের বেশ কিছু বিখ্যাত ধনকুবের, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারীদের দেখা যায়। ছিলেন মুকেশ অম্বানির মতো ব্যক্তিত্বরাও।
নর্থ-ইস্টের প্রসঙ্গ বলতে গিয়ে মঞ্চ থেকেই জ্যোতিরাদিত্য বলেন, একটা সময় ছিল যখন বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বড় ছাপ রাখত উত্তর-পূর্বের ৮ রাজ্য। দক্ষিণ এশিয়ার গ্লোবাল ট্রেডিং হাব হিসাবেও উঠে এসেছিল এই ৮ রাজ্য। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকেই গত ৭০ বছরে বঞ্চনার সাগরে হারিয়ে গিয়েছিল এই রাজ্যগুলি। তিনি বলছেন, “গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এই রাজ্য়গুলি। তিনি বলছেন, এই পরিবর্তনের মূল কারিগর মোদীজি। যার হাত ধরে উত্তর-পূর্বের গল্প, সামগ্রিক চিত্র সবই বদলে গিয়েছে।”