
পটনা: বিহারে ভোটেও কারচুপি! বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Assembly Election 2025) প্রথম ধাপের ভোট মিটতেই সমস্তিপুরে রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখা গেল ভোটার ভেরিফিয়েবল পেপার অডিট ট্রেইল বা ভিভিপ্যাট (VVPAT)। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিয়ো। ইতিমধ্যেই বিরোধীরা সুর চড়াতে শুরু করেছে। আরজেডি(RJD)-র অভিযোগ, এগুলি ইভিএম (EVM) থেকেই বের করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। যদিও জেলা প্রশাসন সেই দাবি মানতে নারাজ।
বিহারের রাস্তায় গড়াগড়ি খেল ভোট। বিহারের সমস্তিপুরে কেএসআর কলেজের সামনে রাস্তার ধারে, নালায় পড়ে থাকতে দেখা গেল গুচ্ছ গুচ্ছ ভোটের ভিভিপ্যাট স্লিপ। স্থানীয় বাসিন্দারা সেগুলি দেখতে পেয়ে কুড়িয়ে নিয়ে আসেন। আর এরপরই উঠেছে ভোটে কারচুপির অভিযোগ। আরও এক দফা ভোট বাকি বিহারে। তার আগেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
A large number of VVPAT slips from EVMs were found scattered on the road near KSR College in the Sarairanjan Assembly constituency of Samastipur, Bihar. pic.twitter.com/rBQVonesJ2
— THE UNKNOWN MAN (@Theunk13) November 8, 2025
ভিভিপ্যাট পড়ে থাকতে দেখে হইচই শুরু হতেই, জেলা প্রশাসনের তরফে সাফাই দিয়ে বলা হয় যে ওগুলি আসল ভোট নয়। বৃহস্পতিবার প্রথম দফার ভোটের আগে যে মক পোল হয়েছিল, সেগুলিই পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। সমস্তিপুর জেলাশাসক রোশন কুশওয়াহা জানিয়েছেন, তদন্ত করা হয়েছে, তাতে জানা গিয়েছে এগুলি মক পোলের পর অতিরিক্ত যে স্লিপগুলি ছিল, তা কেটে বাদ দেওয়া হয়। কিছু কাগজ অর্থাৎ মক পোলের ভোট স্লিপ নষ্ট করা হয়নি। এই কাগজগুলি সেগুলিই। যদিও এই নিয়ে রাজনীতির জলঘোলা শুরু হওয়ায়, জেলাশাসক আশ্বস্ত করে বলেছেন যে ইভিএম নম্বর দেখে পোলিং স্টাফদের চিহ্নিত করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যে বুথের ভিভিপ্যাট পড়েছিল, সেই বুথের প্রার্থীদেরও এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এদিকে, এই ঘটনা জানতে পেরে নির্বাচন কমিশনও অ্যাসিস্টেন্ট রিটার্নিং অফিসার (ARO)-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানিয়েছেন যে বুথের এআরও-কে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কর্তব্যে গাফলতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর-ও দায়ের করা হয়েছে। জেলাশাসকের কাছ থেকে অন সাইট অর্থাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে, তার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কোনও বুথে ভোট শুরুর আগে মক পোল করা হয়। ইভিএম ও ভিভিপ্যাট কাজ করছে কি না, তা পরীক্ষা করার জন্যই মক পোল হয়। এই সময় সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকেন। আসল ভোট শুরুর আগে মক পোলের সব ডেটা মুছে ফেলা হয়।