নাসিক: দিন যতই এগোচ্ছে মনুষ্যজাতি কী ততই নিষ্ঠুর হয়ে যাচ্ছে? আমাদের চোখের সামনে এমন অনেক ঘটনাই ঘটে বা এমন অনেক ঘটনার কথা সামনে আসে, যেখানে এই প্রশ্নটাই উঠতে বাধ্য। মহারাষ্ট্রের নাসিকের এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে, যা নিয়ে নৃশংসতার তত্ত্বটাই আরও জোরদার হয়েছে। কেউ ভাবতেই পারেননি দোকান খুললে তার ভেতরে এই অবস্থা চাক্ষুস করতে হবে। এবার ঘটনা প্রসঙ্গে আসা যাক। নাসিক শহরে (Nashik City) নাকা এলাকার একটি আবাসনের বেসমেন্টে থাকা একটি দোকানকে ঘিরে যাবতীয় রহস্য দানা বেঁধেছে। দোকানটি বেশ কয়েকদিন ধরে বন্ধ। তবে হঠাৎ করে দুদিন ধরে আশেপাশে চলাফেরা করা লোকজন ও আবাসনের বাসিন্দারা দোকান থেকে পচা গন্ধ বের হওয়া অনুভব করেন। গন্ধ তীব্র হওয়ার কারণে গতকাল, রবিবার রাতে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
দোকানের শাটার খোলার সঙ্গে সঙ্গে পচা গন্ধের তীব্র আরও বাড়ে। দোকানের ভিতর ঢোকার পর রীতিমতো হতভম্ব হয়ে যান পুলিশ কর্মীরা। সোমবার পুলিশ কর্মীরা জানিয়েছেন, দোকানটি বিভিন্ন ধরনের অপ্রয়োজনীয় জিনিসে ভর্তি ছিল। তবে দোকানে থাকা দুটি বোতল খোলার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মীরাও আতকে ওঠেন। বোতল খুলে দেখা যায় তার মধ্য মানব দেহের চোখ, মস্তিষ্ক, কান ও মুখমণ্ডলের অন্যান্য অংশ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। দোকান থেকে পাওয়া দেহাবশেষ ফরেন্সিক টিমের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে তাঁরা জানার চেষ্টা করেছেন কী ভাবে ওই দেহাবশেষ ওখানে এল। যে ব্যক্তির দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছে, তাঁকে কী ভাবে হত্যা করা হয়েছে, তাও জানার চেষ্টা করবে ফরেন্সিক দল। তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই দোকান মালিকে দুই ছেলে চিকিৎসক। নাকা থানার পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, “হতেই পারে চিকিৎসা বিষয়ক পরীক্ষা নিরীক্ষা কারণে দেহাবশেষ ওখানে সংরক্ষিত ছিল, তবে খুনের কথাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মালিক ও তাঁর দুই ছেলেকে জেরা করা হবে।”
আরও পড়ুন Hyderabad Cyber Crime: হোয়াটস্যাপে ভিডিয়ো কল করেন? সাবধান, নইলে আপনার পরিণতি হতে পারে এই যুবকের মতো