Hyderabad: ‘ল্য়াব্রাডরের’ হাত থেকে বাঁচতে তিনতলা থেকে ঝাঁপ ডেলিভারি বয়ের

Hyderabad Delivery executive falls off third floor: গ্রাহকের কুকুরের আগ্রাসন থেকে বাঁচতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তল থেকে ঝাঁপ মারলেন একজন ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ। মৃত্যু না হলেও, গুরুতর জখম হয়েছেন ওই ব্যক্তি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (২২ মে) বিকেলে, হায়দরাবাদ শহরে।

Hyderabad: 'ল্য়াব্রাডরের' হাত থেকে বাঁচতে তিনতলা থেকে ঝাঁপ ডেলিভারি বয়ের
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 22, 2023 | 4:15 PM

হায়দরাবাদ: গ্রাহকের কুকুরের আগ্রাসন থেকে বাঁচতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তল থেকে ঝাঁপ মারলেন একজন ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ। মৃত্যু না হলেও, গুরুতর জখম হয়েছেন ওই ব্যক্তি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (২২ মে) বিকেলে, হায়দরাবাদ শহরে। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে হায়দরাবাদে এই ধরনের ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটল। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ক্ষোভ জন্মেছে স্থানীয় কর্মী সংগঠনের মধ্যে। ডেলিভারি বয়রা বাড়িতে আসার সময়, বাড়ির মালিকরা যাতে তাদের কুকুরদের বেঁধে রাখেন, এই বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি জনিয়েছে তারা। একই সঙ্গে কুকুর মালিকদের অবহেলার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে।

জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে হায়দরাবাদের মনিকোন্ডার কাছে পঞ্চবটি কলোনীর শ্রীনিধি হাইটস অ্যাপার্টমেন্টে একটি গদি ডেলিভারি করতে গিয়েছিলেন মহম্মদ ইলিয়াস নামে ৩২ বছরের এক ডেলিভারি বয়। ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজনে কর্মরত তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ওই বাড়ির পোষা একটি ল্যাব্রাডর কুকুর ইলিয়াসের দিকে তেড়ে এসেছিল। কুকুরের আতঙ্কে ইলিয়াস সিঁড়ির জানলা দিয়ে ঝাঁপ দেয়। ওই কুকুরের মালিক এবং অ্য়াপার্টমেন্টের অন্যান্য বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত পিছলে তিন তলা থেকে সোজা নীচে পড়ে যান ইলিয়াস। সৌভাগ্যবশতঃ তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। তবে অত উপর থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পান তিনি। কুকুরের মালিক এবং ওই অ্যাপার্টমেন্টের কয়েকজন বাসিন্দা তাঁকে দ্রুত এক নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। সোমবার সকালে পুলিশ জানিয়েছে, ইলিয়াস এখন শঙ্কামুক্ত।

রায়দুর্গম থানার পুলিশ ওই কুকুর মালিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৮৯ ধারার অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে। এই ধারার অধীনে জ্ঞাতসারে বা অবহেলাবশত কোনও ব্যক্তি যদি তাঁর পোষা প্রাণীর মাধ্যমে অপর কোনও ব্যক্তির প্রাণহানির সম্ভাব্য বিপদ বা গুরুতর আঘাতের সম্ভাব্য বিপদ সৃষ্টি করলে, তাঁকে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে অথবা জরিমানা করা হবে। এই ক্ষেত্রে ৬ মাস পর্যন্ত জেল অথবা ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়।

এর আগে ১১ জানুয়ারি হায়দরাবাদে শহরে প্রায় একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল। এক খাবার ডেলিভারি সংস্থার এক ডেলিভারি বয় একটি বাড়িতে খাবার ডেলিভারি করতে গিয়ে, সেই বাড়ির পোষা কুকুরের ভয়ে তৃতীয় তল থেকে নীচে ঝাঁপ মেরেছিলেন। ওই ব্যক্তির নাম ছিল মহম্মদ রিজওয়ান, বয়স ২৩ বছর। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দিন কয়েক পরে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। ওই ঘটনা ঘটেছিল বানজারা হিলস এলাকায়। ওই ঘটনার ক্ষেত্রে কুকুরের মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করেছিল পুলিশ। তবে, পরে কুকুর মালিক এবং ওই ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ দুই পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি করেছিলেন।

তবে, একের পর এক এই ধরনের ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন তেলঙ্গানা গিগ অ্যান্ড প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। তারা জানিয়েছে, ডেলিভারি বয়রা আসার সময় গ্রাহকদের তাদের পোষা কুকুরগুলিকে বেঁধে রাখতে হবে। পোষ্যদের বিষয়ে অবহেলার জন্য কুকুর মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ, ডেলিভারি বয়দের পক্ষে জানা সম্ভব নয়, কোন পোষ্য বন্ধুত্বপূর্ণ, কোন পোষ্য নয়। পোষা প্রাণীরাও অপরিচিত ব্যক্তিদের দেখে খেপে যেতে পরে।