মুম্বই: বর্ষশেষের আগে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তারমধ্যে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনার নয়া ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কে যখন বাড়ছে, তখনই মাস্ক নিয়ে তুঙ্গে উঠল রাজনৈতিক তরজা। শিবসেনা সাংসদ তথা দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতকে নাসিকের এক অনুষ্ঠানে মাস্ক ছাড়াই পাওয়া দেখা গিয়েছিল। সাংবাদিকরা রাজ্যসভার সাংসদকে প্রশ্ন করেন, কোভিড বাড়ছে, এই সময়ে তিনি কেন মাস্ক পরে নেই? জবাবে শিবসেনা মুখপাত্র বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবাইকে মাস্ক পরার কথা বলেন, কিন্তু তিনি নিজেই মাস্ক পরেন না। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে মাস্ক পরেন, কিন্তু মোদী দেশের নেতা। আমি দেশের নেতাকে অনুসরণ করেই মাস্ক পরিনি। সাধারণ মানুষও প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই মাস্ক পরছেন না।”
মাস্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি সকলকে সাবধান করে শিবসেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই সময়ে সকলের সতর্ক হওয়া উচিৎ। তিনি বলেছেন, “বর্তমানে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন বিধিনিষেধ চলছে। আমি চাই দিনের বেলা যেন কোনও বিধিনিষেধ না থাকে। দিনের বেলা বিধিনিষেধ থাকলে অর্থনীতি প্রভাবিত হয়। সুপ্রিয়া সুলে, সদানন্দ সুলে, প্রজক্ত তানপুরে, বর্ষা গায়কওয়াড় করোনা পজিটিব হয়েছেন। এই সময়ে তাই বাইরে বেরোলে সকলেপ বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।”
উল্লেখ্য, প্রায় দুবছর ধরে করোনা সংক্রমণে ভুগছে গোটা বিশ্ব। কখনও বেড়েছে। কখনও কমেছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই দু’বছরে করোনার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টে বেরিয়েছে। যাতে আক্রান্ত হয়েছেন বহুজন। আজ বছরের শেষ দিন। উৎসবের মেজাজ। তবে রক্ষে নেই। আতঙ্ক ধরাচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট। বিশ্বের পাশাপাশি সারা দেশে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো বড় শহরগুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ। তার মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে বেড়েছে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের গ্রাফ।
গোটা দেশের সার্বিক করোনাগ্রাফে সামান্য পরির্বতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৭৬৪ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ১৩ হাজার ১৫৪ ৬ হাজার ৩৫৮ জন। একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ২২০ জন। এদিকে,দেশে ৭ হাজার ৫৮৫ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৩ কোটি ৪২ লাখ ৬৬ হাজার ৩৬৩ জন করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।