নয়া দিল্লি: পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি (Congress) পদ থেকে সম্প্রতি ইস্তফা দিয়েছিলেন নভজ্যোত সিং সিধু (Novjot Singh Sidhu)। শুক্রবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বাড়িতে দীর্ঘ বৈঠক শেষে নিজের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিলেন এই ‘জাঠ পুত্তর’। জানালেন, ‘আমার যা বলার ছিল সমস্তটাই রাহুল গান্ধীকে জানিয়েছি। সমস্যা মিটে গিয়েছে।’
১৪ অক্টোবর দিল্লিতে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল এবং হরিশ রাওয়াতের সঙ্গে দেখা করেছিলেন নভজ্যোত সিং সিধু। সূত্রের খবর, বৈঠকের থেকে বেশ কিছু ইতিবাচক দিক উঠে আসে। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে পঞ্জাব কংগ্রেসে যে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, মনে করা হচ্ছিল এবার হয়ত তার অবসান হতে চলেছে। নভজ্যোত সিং সিধুর সঙ্গে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের দ্বন্দ্ব। তার জেরে ক্যাপ্টেনের পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা প্রদান। তার কিছুদিন পর সিধুরও প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদে ইস্তফা। এই সব নাটকীয়তার এবার হয়ত ইতি পড়তে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছিল।
এসবের মধ্যে শুক্রবার হঠাৎই সন্ধ্যায় রাহুল গান্ধীর বাড়িতে গিয়ে পৌঁছন সিধু। পঞ্জাব কংগ্রেসের মুখ্য পদ থেকে ইস্তফার পর এই প্রথম দুজনের বৈঠক হয়। উল্লেখ্য এর আগে পঞ্জাবের দায়িত্বে থাকা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হরিশ রাওয়াত বলেছিলেন, “নভজ্যোৎ সিং সিধিু এবং চরণজিৎ চন্নির মধ্যে ইস্যুগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একটি সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে বলে আমরা আশা করছি। কিছু কিছু এমন জিনিস আছে, যাতে কিছুটা হলেও বেশি সময় লাগে।”
I shared all my concerns with Rahul Gandhi. Everything has been sorted out: Navjot Singh Sidhu after meeting with Congress leader Rahul Gandhi in Delhi pic.twitter.com/cdd6g6de4W
— ANI (@ANI) October 15, 2021
He (Sidhu) shared his concerns with Rahul Gandhi. We have told him that his concerns will be taken care of here. He assured Rahul Gandhi that he has withdrawn his resignation and he will resume his duties as the PCC president: AICC in charge for Punjab, Harish Rawat pic.twitter.com/aHY168jclZ
— ANI (@ANI) October 15, 2021
আগামী বছরই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই দলীয় কোন্দল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কংগ্রেস। বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নভজ্যোত সিং সিধুর সঙ্গে বিরোধ শুরু হয় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের। চলতি বছরেই সিধুর নাম যখন পঞ্জাবের কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে উঠে আসে, সেই সময়ও তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন অমরিন্দর সিং। পরে শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সিধুকে সভাপতি হিসাবে মেনে নেন অমরিন্দর।
এদিকে কংগ্রেস সভাপতির পদে দায়িত্ব পাওয়ার পরই সিধু অমরিন্দর সিংকে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে উঠে পড়ে লাগে বলে অভিযোগ ওঠে। সিধু ঘনিষ্ঠ বিধায়করা বারংবার অমরিন্দরের ইস্তফার দাবি জানান। সে কারণেই অপমানে অমরিন্দর সিং পদ থেকে ইস্তফা দেন এমনও শোনা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Singhu Murder: সিংঘু সীমানায় নারকীয় হত্যাকাণ্ডে আত্মসমর্পণ এক যুবকের