IAF Patrols: তাওয়াং সংঘর্ষের আবহেই গত কয়েকদিন ধরে আকাশপথে টহল ভারতীয় বায়ুসেনার
IAF Patrols: গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত বাঁধে। এর পরই অরুণাচল প্রদেশের আকাশসীমায় টহল দিচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান।
নয়া দিল্লি: ফের সীমান্তে চিনা চোখ রাঙানি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিন ও ভারতীয় সেনার মধ্য়ে সংঘাত বাঁধে। জানা গিয়েছে, এক সপ্তাহ আগে পিএলএ ৩০০ জন সেনা জওয়ান প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ফেলে। তারপরই ভারতীয় সেনা ও চিনা সেনা সরাসরি সংঘাতে জড়ায়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ফের উত্তেজনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, চিন যাতে ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন না করতে পারে, তার জন্য নজরদারি চালাতেভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) তরফে অরুণাচলপ্রদেশে টহল দিচ্ছে বিমান।
সূত্রের খবর,অরুণাচল প্রদেশে চিন যাতে কোনওভাবে আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে না পারে তাই সাম্প্রতিককালে গতকয়েক সপ্তাহে দু’ থেকে তিনবার টহল দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার জেটগুলি। ভারতীয় বায়ুসেনা অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সম্প্রতি চিনা বিমানের কার্যকলাপ শনাক্ত করেছে। তাই বাড়তি সতর্কতা নিয়ে অরুণাচল প্রদেশের আকাশসীমায় টহল চালাচ্ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার জেটগুলি।
প্রসঙ্গত, গতকাল জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে অরুণাচলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সংঘর্ষে জড়ায় চিনা ও ভারতীয় বায়ুসেনা। ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে এই সংঘাত বাঁধে। তবে ভারতীয় বায়ুসেনা সেখানে চিনা আগ্রাসন ঠেকিয়ে দিতে সমর্থ হয়েছে। ২০২০ সালের পূর্ব লাদাখে গালওয়ান সংঘর্ষের পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার ফের সংঘর্ষে জড়াল দুই বাহিনী। তবে এই সংঘাতে জখম হয়েছেন দুই তরফের সেনাই। জানা গিয়েছে, ভারতের তুলনায় চিনা বাহিনীতে আহতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। আহত ভারতীয় সেনাদের গুয়াহাটি সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।