AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

প্লাজমা থেরাপি কি তবে বাতিলের পথে! ইঙ্গিত মিলল আইসিএমআর-এর বৈঠকে

এর কার্যকারিতার হার খুব একটা ইতিবাচক নয় বলেই জানাচ্ছে দেশের শীর্ষ চিকিৎসক সংগঠন। যে কারণে করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির ব্যবহারকে শীঘ্রই বাতিলের খাতায় পাঠানো হতে পারে

প্লাজমা থেরাপি কি তবে বাতিলের পথে! ইঙ্গিত মিলল আইসিএমআর-এর বৈঠকে
ফাইল ছবি
| Updated on: May 15, 2021 | 11:53 PM
Share

নয়া দিল্লি: করোনা প্রাদুর্ভাব যখন প্রথমবার ভারতে শুরু হয়েছিল, তখন এর বিরুদ্ধে লড়ার মতো কোনও অস্ত্র ছিল না চিকিৎসক মহলের হাতে। সেই সময় দেশের বেশ কিছু জায়গায় শুরু হয়েছিল প্লাজমা থেরাপি। প্রাথমিকভাবে এই থেরাপি ব্যবহার করে কম সঙ্কটজনক রোগীদের ক্ষেত্রে ফল পাওয়া যাচ্ছিল। তবে বর্তমানে এর কার্যকারিতার হার খুব একটা ইতিবাচক নয় বলেই জানাচ্ছে দেশের শীর্ষ চিকিৎসক সংগঠন। যে কারণে করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির ব্যবহারকে শীঘ্রই বাতিলের খাতায় পাঠানো হতে পারে। এমনটাই খবর সূত্রের।

কোভিড চিকিৎসার খুঁটিনাটি নিয়ে শনিবার আইসিএমআর এবং কোভিড টাস্ক ফোর্সের মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে দুই পক্ষই একটি বিষয়ে সহাবস্থানে আসে। তা হল, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে কোভিডের প্রকোপ কমাতে বা রোগীকে বাঁচাতে খুব একটা কার্যকর হচ্ছে না প্লাজমা থেরাপি। একই সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষেত্রে এর যথেচ্ছ ব্যবহার সমস্যা বাড়াচ্ছে বৈ কমাচ্ছে না। সেই কারণে প্রাথমিকভাবে গতবছর যে প্লাজমা থেরাপির কথা আইসিএমআর-র গাইডলাইনে উল্লেখ করা হয়েছিল, তা আগামী সময় পাকাপাকিভাবে বাতিল করা হতে পারে।

আইসিএমআর সূত্রে খবর, শীঘ্রই এই বিষয়ে নতুন একটি গাইডলাইন জারি করতে চলেছে দেশের এই শীর্ষ চিকিৎসক সংগঠন। যেখানে কোভিড চিকিৎসার জন্য প্লাজমা থেরাপি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।

কীভাবে কাজ করে প্লাজমা থেরাপি?

আরও পড়ুন: ‘লোকে এসে বলছে বাঁচার জন্য ধর্ম পরিবর্তন করে চাই’, বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যপালের

যে ব্যক্তি সদ্য করোনা থেকে সেরে উঠেছেন, তাঁর শরীরে স্বাভাবিকভাবেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। যদিও সেই অ্যান্টিবডির মেয়াদ যে দীর্ঘস্থায়ী নয় তা এতদিনে প্রমাণিত। তবে গত বছর প্রাথমিকভাবে যারা সেরে উঠছিলেন, তাঁরা প্লাজমার মাধ্যমে সেই অ্যান্টিবডি দান করতেন অন্য রোগীদের। রক্তদানের মতোই করতে হত প্লাজমা দানও। এই ক্ষেত্রে একটি মেশিনের মাধ্যমে রক্ত এবং প্লাজমা ভেঙে আলাদা হয়ে যেত। পরবর্তী সময় সেই প্লাজমাই দেওয়া হত করোনা আক্রান্ত রোগীদের। এর ফলে তাঁদের শরীরেও সেই অ্যান্টিবডি প্রবেশ করত এবং অনেক ক্ষেত্রে সুস্থও হয়ে উঠতেন রোগীরা। যদিও এই চিকিৎসা পদ্ধতি বর্তমানে খুব একটা ফলদায়ক না হওয়ার কারণেই তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত একপ্রকার নিয়ে ফেলা হয়েছে। এ বার শুধু সরকারি সিলমোহর বাকি।

আরও পড়ুন: বিদ্যুত না থাকলে নষ্ট হবে ভ্যাকসিন-ওষুধ, সাইক্লোনের আগে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী