তাড়াহুড়ো নয়, তিন শর্ত পূরণ হলেই আনলক পর্ব শুরুর পরামর্শ আইসিএমআরের প্রধানের

সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ে করোনা পরীক্ষা ও কন্টেনমেন্ট জ়োনের উপর জোর দেওয়া হলেও আইসিএমআরের প্রধান জানান, জেলাস্তরে করোনা পরীক্ষা বৃদ্ধি ও কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করে কিছুটা লাভ হলেও এগুলি দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়।

তাড়াহুড়ো নয়, তিন শর্ত পূরণ হলেই আনলক পর্ব শুরুর পরামর্শ আইসিএমআরের প্রধানের
আনলক পর্ব শুরু হতেই কারখানার পথে গুরুগ্রামের শ্রমিকেরা। ছবি:PTI
Follow Us:
| Updated on: Jun 02, 2021 | 1:26 PM

নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের পরিস্থিতি বেসামাল হতেই একাধিক রাজ্যে জারি করা হয়েছিল লকডাউন (Lockdown)। বর্তমানে সেই সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসায় আনলক প্রক্রিয়া (Unlock Process) শুরু করার পরিকল্পনা করছে রাজ্যগুলি। কিন্তু কোন পদ্ধতি মেনে সেই আনলক প্রক্রিয়া শুরু করলে তৃতীয় ঢেউ থেকে সুরক্ষা মিলবে, তা জানালেন আইসিএমআরের প্রধান বলরাম ভার্গব (Balaram Bhargava)।

মঙ্গলবার করোনা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সম্মেলনে তিনি বলেন, “করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে বাঁচতে রাজ্য সরকারগুলিতে অত্যন্ত ধীর গতিতে, একে একে আনলক প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।” লকডাউন তোলার জন্য তিন পয়েন্ট পরিকল্পনা অনুসরণ করতে বলেন আইসিএমআর প্রধান। এগুলি হল, সংক্রমণের হার হ্রাস, করোনা অধিকাংশের করোনা টিকাকরণ ও কোভিডবিধি মেনে চলা।

বলরাম ভার্গব বলেন, “বিধি নিষেধ তুলে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরা তিনটি স্তম্ভের উপর নির্ভর করছে- যদি সাপ্তাহিক আক্রান্তের হার পাঁচ শতাংশের কম হয়, যাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি, অর্থাৎ ষাটোর্ধ্ব ও ৪৫ উর্ধ্ব যাদের কো-মর্ডিবিটি রয়েছে, তাঁদের মধ্যে কমপক্ষে ৭০ শতাংশের টিকাকরণ এবং করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই ধীরে ধীরে আনলক প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে।”

সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ে করোনা পরীক্ষা ও কন্টেনমেন্ট জ়োনের উপর জোর দেওয়া হলেও আইসিএমআরের প্রধান জানান, জেলাস্তরে করোনা পরীক্ষা বৃদ্ধি ও কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করে কিছুটা লাভ হলেও এগুলি সাময়িক সমাধান। আমাদের লকডাউন তুলতে হবে, কিন্তু তা অত্যন্ত ধীরে ধীরে এবং ধাপে ধাপে।

গত সপ্তাহেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল লকডাউন ৭ জুন অবধি দীর্ঘায়িত করলেও উৎপাদন ও নির্মাণ কার্য শুরু করায় অনুমতি দেন। অন্যদিকে, সোমবার থেকে উত্তর প্রদেশেও যে সমস্ত জেলায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬০০-র কম, সেখানে বিধিনিষেধ শিথিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এপ্রিলের ২৭ তারিখ থেকে ৩ মে অবধি দেশে যেখানে আক্রান্তের হার ২১.৩৯ শতাংশ ছিল, বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৩ শতাংশে।

কেন্দ্রের তরফে চলতি বছরের শেষভাগের মধ্যে সকলকে টিকাকরণের প্রসঙ্গে আইসিএমআরের প্রধান বলরাম ভার্গব বলেন, “ভ্যাকসিনের কোনও ঘাটতি নেই। যদি একমাসের মধ্যেই গোটা দেশে টিকাকরণ করতে চান, তবেই সেক্ষেত্রে টিকা ঘাটতি বলা যেতে পারে। আমাদের এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে যে আমাদের দেশের জনসংখ্যা আমেরিকার চারগুণ বেশি। আপনাদের একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে। জুলাইয়ের মধ্যভাগ বা অগস্টের শুরুর দিকেই আমাদের কাছে প্রতিদিন এক কোটি মানুষের টিকাকরণের জন্য পর্যাপ্ত টিকা থাকবে।”

আরও পড়ুন: ‘প্রেস বিজ্ঞপ্তি ছাড়া কিছুই নেই’, করোনায় অনাথ শিশুদের জন্য কেন্দ্রের প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের