নয়া দিল্লি: বারোদিনেরও বেশি সময় ধরে সিবিআই-এর ধারাবাহিক জেরা চলছে। আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পুরোনো এক মামলা খুঁড়ে বের করেছে কলকাতা পুলিশও। এবার, আরও বিপাকে পড়লেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল চিকিৎসক সমাজও। বুধবার (২৮ অগস্ট) এক আদেশ জারি করে সন্দীপ ঘোষের সদস্যপদ প্রত্যাহার করল ভারতীয় চিকিৎসকদের সবথেকে বড় সংগঠন, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।
আইএমএ-র কলকাতা শাখার সহ-সভাপতি পদে ছিলেন ড. সন্দীপ ঘোষ। আরজি করের ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে, তাঁর সদস্যপদ প্রত্যাহার করা হবে কি হবে না, তা ঠিক করতে একটি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গঠন করেছিলেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি ড. আরভি অশোকান। সেই কমিটিই এদিন সর্বসম্মতিক্রমে ডঃ সন্দীপ ঘোষের আইএমএ সদস্যপদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক বিবৃতিতে আইএমএ জানিয়েছে, স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আরজি কর মেডিকেল কলেজের স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণাধীন মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং হত্যার অভিযোগ এবং তার পরবর্তী ঘটনাবলী বিবেচনা করেছে কমিটি।
আইএমএ আরও জানিয়েছে, এই ঘটনার বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে আইএমএ-র সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে কমিটির সদস্যরাও নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে নির্যাতিতার বাবা-মা, আইএমএ-র প্রতিনিধিদের কাছে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে, সন্দীপ যে দায়িত্বপূর্ণ পদে ছিলেন, তাতে এই ক্ষেত্রে তাঁর থেকে সহানুভূতি এবং সংবেদনশীল আচরণ আশা করা হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর যথেষ্ট সহানুভূতি এবং সংবেদনশীলতার অভাব ছিল বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাততার বাবা-মা। এই সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতেই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে সন্দীপের সদস্যপদ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছন।