Assam Bengal border: ‘মোট টাকা দিতে না পারলেই…’ পুলিশের তোলাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে লাগাতার বিক্ষোভ ট্রাক চালকদের
Truck driver protest: খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বক্সিরহাট থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। দু'পক্ষের মধ্যে আলোচনায় মীমাংসা করার চেষ্টাও বিফলে যায়।
অসম: গাড়ি পিছু দিতে হবে মোটা অঙ্কের টাকা। নচেৎ মিলবে না অসম সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় প্রবেশের অনুমতি। দিনের পর দিন পুলিশের এহেন দাবিদাওয়ায় বিরুদ্ধে জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন ট্রাক চালক ও খালাসিরা। অসম-বাংলা সীমান্তে হওয়া সেই অবরোধের জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। জাতীয় সড়ক বরাবর কেবল সার দিয়ে দাঁড়িয়ে মালবাহী বিভিন্ন ধরনের লরি।
গাড়ি পিছু বেআইনিভাবে টাকা চেয়ে পুলিশি জুলুম। এহেন অভিযোগ তুলে অসম-বাংলা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় পণ্য পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত চালক ও খালাসিরা। অবরোধের জেরে বন্ধ হয়ে যায় উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা। লরি চালকদের দাবি, অসম থেকে বাংলায় প্রবেশের ক্ষেত্রে একটি পণ্য পরিবহনের ছোট গাড়ি থেকে দুই হাজার টাকা দাবি করে পুলিশ। এছাড়া অন্য সময়ও খালি গাড়ির জন্যও মোটা টাকার দাবি করার অভিযোগ তোলা হয় বক্সিরহাট থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। ফলে সমস্যার সমাধান চেয়ে অবরোধের পথে হাঁটেন ক্ষুব্ধ চালকরা।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বক্সিরহাট থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনায় মীমাংসা করার চেষ্টাও বিফলে যায়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাদের দিকে লাঠি উঁচিয়ে মারতে উদ্যত হয় পুলিশ। ফলে তার থেকে বাঁচতে অবরোধকারিরা অসমের ভূখণ্ডে চলে যায়। যার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে শুরু করে। পরে সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে অসম পুলিশের বাহিনী। বর্তমানে অবরুদ্ধই রয়েছে অসম-বাংলা সীমান্ত।
গাড়ি চালক সফিজুল আলি বলেন, “সরষে বোঝাই একটি ছোট গাড়ির জন্য পুলিশ দু’হাজার টাকা চাইছে। না দিতে পারলেই বিভিন্ন ধরনের জুলুম করা হয়। এত টাকা আয় নেই আমাদের। তাই আমরা সেই টাকা দিতে পারবো না।’ হাসান আলি নামে অন্য চালক বলেন, ‘প্রত্যেকদিন এইভাবে টাকা চায় পুলিশ। মোটা অঙ্ককের টাকা আমাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। না দিতে পারলে অত্যাচার করে আমাদের উপর। আমরা জিজ্ঞাসা করলে জানানো হয় তাদের টাকা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমরা অবরোধ চালিয়ে যাব কিন্তু টাকা দেব না।”
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে আজ হোলি। কিন্তু মাথাভাঙায় এই হোলিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। শিকারপুরের রাজ্য সড়কের ওপর দুপক্ষের মধ্যে বাস ও লাঠি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জখম হন দুপক্ষের বেশ কয়েকজন। বেশ কয়েকজন মহিলাও সেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।