সীমান্ত সমস্যা নিয়ে নতুন বছরে ফের মুখোমুখি ভারত-চিন, মিলবে সমাধান?
চিনের তরফে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা না সরানো অবধি ভারতও তাদের সেনা সরাবে না, একথা সাফ জানিয়ে দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, চিনের আপত্তি থাকলেও চাপের কাছে মাথা নোয়াবে না ভারত।
নয়াদিল্লি : দীর্ঘ আট মাসেও হয়নি কোনও পরিবর্তন। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা(LAC) ঘিরে বিবাদ মেটাতে নতুন বছরে নবম দফার বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত ও চিন। রবিবার চুসুল সেক্টরের বিপরীতে মল্ডোতে নবম দফার সেনা স্তরের বৈঠকটি হতে চলেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে উপস্থিত থাকবেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি কে জি মেনন। অন্যদিকে চিনের তরফে উপস্থিত থাকবেন পিপলস লিবারেশন আর্মির প্রধান। দুই দেশের সেনা প্রধান ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিদেশমন্ত্রকের একাধিক আধিকারিক।
এর আগে অষ্টম দফার বৈঠক হয়েছিল ৬ নভেম্বর। চুসুলে সেই বৈঠকের পর দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, “আলোচনায় ভুল বোঝাবুঝি এড়িয়ে যত দ্রুত সম্ভব সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দুই দেশের প্রধানরাও এই বিষয়ে সহমত হয়েছেন।” তবে পরবর্তী সময়ে ভারতের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হলেও চিন সেনা প্রত্যাহার করেনি। দীর্ঘ তিনমাস কার্যত মুখ দেখাদেখি বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি বেজিংয়ের তরফেই আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারপরই আজকের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে বৈঠকের ঠিক আগে চিনের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। চিনের তরফে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা(LAC) থেকে সেনা না সরানো অবধি ভারতও তাদের সেনা সরাবে না, একথা সাফ জানিয়ে দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, চিনের আপত্তি থাকলেও চাপের কাছে মাথা নোয়াবে না ভারত। চিনের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত লাদাখ সীমান্তের অচলাবস্থা সমাধানে আলোচনাতেই জোর দিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রক।
আরও পড়ুন : ট্রাক্টর মিছিলে অবশেষে সম্মতি দিল্লি পুলিসের, ‘নৈতিক জয়’ বললেন অন্নদাতারা
আজকের বৈঠকে দুই দেশ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা(LAC) বরাবর বিভিন্ন পয়েন্টে সেনাবাহিনীর সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়করণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই আলোচনা চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই বৈঠকে আদৌ কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান দুই পক্ষই।
আরও পড়ুন : সেনা প্রত্যাহার নিয়ে কঠোর রাজনাথ, আগামিকাল নবম দফা বৈঠকে ভারত-চিন
এদিন চিন প্রশ্নে সুর চড়ান বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভাদোড়িয়াও। তিনি বলেন, চিন আগ্রাসী হলে আমরাও আগ্রাসী হতে পারি। চিন যেমন সীমান্তে সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে, আমরাও সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছি।” তিনি আরও জানান, এলএসিতে মোতায়েন সেনাদের কাছে রয়েছে বিভিন্ন র্যাডার, সারফেস টু এয়ার মিসাইল। ফলে, ‘জং-কি ময়দানে’ ভারত সম্পূর্ণভাবেই প্রস্তুত।