সেনা প্রত্যাহার নিয়ে কঠোর রাজনাথ, আগামিকাল নবম দফা বৈঠকে ভারত-চিন
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব (Anurag Srivastava) বলেন, "সেনা স্তরের বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। পাশাপাশি কূটনৈতিক স্তরেও বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।"
নয়া দিল্লি: পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত-চিনের মধ্যে সৃষ্ট উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আগামিকাল সেনা স্তরে বৈঠকে বসতে চলেছে দুই দেশ। শনিবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, রবিবার চুসুল সেক্টরের ঠিক বিপরীতে অবস্থিত মল্ডোয় দুই দেশের সেনা আধিকারিকরা আলোচনায় বসবেন।
গত বছরের মার্চ মাস থেকে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Actual Control) জুড়ে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছে। জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ (Galwan Clash) হওয়ায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর দুই দেশের মধ্যে সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়। তবে কোনও সুরাহা না মেলায় এখনও সীমান্তে দুই দেশের তরফেই সেনা মোতায়েন রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই বৈঠক নিয়ে জল্পনা চললেও কোনও নির্দিষ্ট দিন স্থির হচ্ছিল না। অবশেষে চিনের তরফে বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়ার পর আগামিকাল সেই বৈঠক হতে চলেছে। বিগত বৈঠকগুলি চুসুলে হলেও নবম দফার বৈঠকটি মল্ডোয় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব (Anurag Srivastava) বলেন, “সেনা স্তরের বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। পাশাপাশি কূটনৈতিক স্তরেও বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।”
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্রে পরিণত ভোপাল, চলল কাঁদানে গ্যাস-জলকামান
সূত্র অনুযায়ী, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতের তরফে বর্তমানে প্রায় ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। চিনের তরফেও একই সংখ্যক সেনা মোতায়েন রয়েছে। সেনা সরানোর প্রক্রিয়া নিয়ে গতকালই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, “চিনের তরফে সেনা কমানো না হলে ভারতও একতরফা ভাবে সেনা কমাবে না।” একইসৎঙ্গে তিনি জানান, চিনের তরফে আপত্তি করা হলেও সীমান্তে ভারত দ্রুতগতিতে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চালাচ্ছে।
দুই দেশের মধ্যে সঙ্ঘাতের সমাধান কবে হবে, এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানেই বিশ্বাসী। দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে, তবে এর নির্দিষ্ট কোনও তারিখ বা সময়সীমা জানানো সম্ভব নয়।” আলোচনায় আরও জোর দিয়ে তিনি বলেন, “চিনের তরফে ১৯ জানুয়ারি একটি বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বৈঠকের আগের দিনই সে কথা জানানোয় বৈঠক পিছিয়ে ২৩ বা ২৪ তারিখ করার প্রস্তাব দিই।”
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে ফের পাক সুড়ঙ্গের খোঁজ পেল বিএসএফ