নয়া দিল্লি: করোনা (COVID 19) সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভেসেছিল দেশ। আসতে আসতে দৈনিক সংক্রমণে রাশ টানলেও কমছে না মৃত্যু-মিছিল। বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন করোনা রুখতে হলে দ্রুত টিকা পৌঁছে দিতে হবে সকলের কাছে। কিন্তু টিকা সঙ্কটে দেশে করোনা টিকার আকাল। এই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি বিদেশি টিকাকে অনুমোদন দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র। এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া জানান, ভারতকে দ্রুত টিকাকরণে জোর দিতে হবে। জুলাইয়ের শেষে দৈনিক টিকাকরণের সংখ্যা হবে ১ কোটি। অর্থাৎ রোজ টিকার ১ কোটি ডোজ় দেওয়া হবে। এমনই আশার কথা শোনালেন এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। উল্লেখ্য, দেশে এখন দৈনিক টিকাকরণের সংখ্যা স্রেফ ৩০ লক্ষ।
দেশের টিকা সঙ্কট মেটাতে বিদেশি নির্মাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত ভ্যাকসিনেশন করার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। পাশাপাশি ভ্যাকসিন আমদানি নিয়ে একটি স্থায়ী সমাধানের কথা বলে তিনি জানান, নির্মাতারা একজনের সঙ্গেই চুক্তি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। কয়েকদিন আগেই একাধিক রাজ্য টিকা চেয়ে বিদেশি নির্মাতাদের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু বিদেশি নির্মাতাদের প্রত্যেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করতে নারাজ। তারা স্রেফ কেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তি করার কথা জানায়। গুলেরিয়ার বক্তব্যের সঙ্গে সেই ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
গর্ভবতী মহিলাদের দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলেন এইমস প্রধান। তিনি জানান, সন্তানসম্ভবাদের অধিক মৃত্যুহাত ও কো-মর্বিডিটি থাকে। তাই তাঁদের দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত। কোভ্য়াক্সিন একটি ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভাইরাস ভ্যাকসিন। তাই এটি গর্ভবতীদের জন্য নিরাপদ বলে জানান তিনি। করোনা কালে অনেক রোগী মাল্টিভিটামিন, জিঙ্ক খান। তা পরবর্তীকালেও খেতে পারেন। কোনও সমস্যা হবে না। এ বিষয়েও আশ্বস্ত করেন গুলেরিয়া।
আরও পড়ুন: কোভিডে বাবা-মা হারা শিশুদের ১০ লক্ষ টাকা দেবে কেন্দ্র, একগুচ্ছ মানবিক সিদ্ধান্ত মোদীর