AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

২০২৭ সালের আগেই বিশ্বের জনবহুল দেশ হিসাবে চিনকে টপকে যেতে পারে ভারত!

চিনা বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৭ সালের আগে ভারতে জনবিস্ফোরণ হতে পারে। জনসংখ্যায় হার মানাতে পারে চিনকে।

২০২৭ সালের আগেই বিশ্বের জনবহুল দেশ হিসাবে চিনকে টপকে যেতে পারে ভারত!
ফাইল চিত্র।
| Updated on: May 13, 2021 | 11:12 AM
Share

নয়া দিল্লি: জনঘনত্বে চিনকে টেক্কা দিতে চলেছে ভারত।  একদিকে যেমন বিগত কয়েক বছর ধরেই চিনের জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে, অন্যদিকে, ভারতে ক্রমশ জনঘনত্ব বেড়েই চলেছে। ২০১৯ সালে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা ২৭৩ মিলিয়ন অর্থাৎ ২৭.৩ কোটি বৃদ্ধি পাবে। তবে চিনা জনগণনাবিদদের মতে, ২০২৭ সালের আগেই ভারত বিশ্বের সবথেকে বেশি জনবহুল দেশে পরিণত হবে।

২০১৯ সালের রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে এও বলা হয়েছিল, ২০২৭ সালের মধ্যেই জনসংখ্যায় চিনকে টপকে যাবে ভারত। চিনা বিশেষজ্ঞদের মতে, তারই আগে ভারতে “জনবিস্ফোরণ” হতে পারে। জনসংখ্যায় হার মানাতে পারে চিনকে। ২০১৯ সালে ভারতে আনুমানিক জনসংখ্যা ছিল ১.৩৭ বিলিয়ন অর্থাৎ ১৩৭ কোটি, সেখানেই চিনের জনসংখ্যা ছিল ১.৪৩ বিলিয়ন অর্থাৎ ১৪৩ কোটি।

প্রতি ১০ বছর অন্তর চিনে যে জনগণনা বা জনসুমারি হয়, তার রিপোর্ট মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়। সেখানে দেখা যায়, চিনের জনসংখ্যা সব থেকে কম গতিতে ১.৪১১৭৮ বিলিয়ন অর্থাৎ ১ কোটি ৪১ হাজার ১৭৮-তে  বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানেও চিন বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশ হলেও আগামী বছর থেকেই সেই জনসংখ্যা কমতে থাকবে বলে অনুমান।

এদিকে, জনসংখ্যা কম হওয়ায় চিনের শ্রমিক সংখ্যাতেও ঘাটতি দেখা যাবে, যার সরাসরি প্রভাব মানুষের গ্রহণ ক্ষমতায় পজড়বে এবং তা গোটা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। চিনের সরকার পরিচালিত গ্লোবাল টাইমস ডেইলিতে চিনা জনগণনাবিদদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ভারতের জনসংখ্যা রাষ্ট্রসংঘের অনুমান করা বছরের আগেই চিনকে টপকে ফেলবে।

এর অন্যতম কারণ হল, আগামী বছর থেকে চিনের জন্ম হার, অর্থাৎ যে হারে মহিলারা গড়ে সন্তান জন্ম দিয়ে থাকেন, তা হ্রাস পাবে। অন্যদিকে ভারতের জন্মহার তুলনায় বেশি হওয়ায় ২০২৭ নয়, ২০২৩ বা ২০২৪ সালের মধ্যেই তা জনসংখ্যায় চিনকে টপকে ফেলবে।

রাষ্ট্রসংঘের ২০২০ সালের বিশ্ব জন্মহার ও পরিবার পরিকল্পনার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বিশ্বের জন্ম হার ছিল ২.৫। চিনের পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক লিয়াং জিয়ানজ়াং জানান, আগামী বছরগুলিতে চিনের জন্মহার ক্রমশ কমতে থাকবে এবং বিশ্বের সর্বনিম্ন জন্মহারযুক্ত দেশে পরিণত হবে।

উল্লেখ্য, বিগত চার বছর ধরেই চিনের জন্মহার ক্রমাগত কমে চলেছে। ২০২০ সালে সে দেশে মোট ১২ মিলিয়ন অর্থাৎ ১.২ কোটি শিশুর জন্ম হয়েছে।

এই বিষয়ে অধ্যাপক লিয়াং বলেন, “বর্তমান তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১০ বছরে ২২ থেকে ৩৫ বছর লয়সী মহিলার সংখ্যা ৩০ শতাংশেরও বেশি কমে যাবে। মূলত ২২ থেকে ৩৫ বছর বয়সেই মহিলারা সন্তান জন্ম দিয়ে  থাকেন।”

জনসংখ্যার সংকট দেখা দেওয়ার কারণেই ২০১৬ সালে পরিবার পিছু এক সন্তানের নীতিতে পরিবর্তন আনা হয় এবং দুটি সন্তান ধারণের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু এর প্রভাব খুব একটা দেখা যায়নি, কারণ অধিকাংশ চিনা নাগরিকই দ্বিতীয় সন্তান নিতে অস্বীকার করে। আগামী দিনে চিনে পরিবার পিছু সন্তান ধারণের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

আরও পড়ুন: শিশুদের চূড়ান্ত ট্রায়ালে ছাড়পত্র কোভ্যাক্সিনকে, সিলমোহর ডিসিজিআইর