
নয়া দিল্লি: ভারতের সঙ্গে পেরে উঠছিল না পাকিস্তান। সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণার জন্য বারবার অনুরোধ করছিল ভারতকে। হ্যাঁ, একবার নয়, একাধিকবার পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতির আর্জি জানিয়েছিল। সূত্রের খবর, পাকিস্তানে ঢুকে অপারেশন সিঁদুর চালানোর পরদিনই, ৭ মে বিকেলে পাকিস্তান ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনকে আনুষ্ঠানিক বার্তা দিয়েছিল।
সরকারি সূত্রে খবর, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত শুরুর পর পাকিস্তান দুইবার সংঘর্ষ বিরতির আর্জি জানিয়েছিল। তবে ইসলামাবাদের আর্জিতে মোটেও আন্তরিকতা বা একনিষ্ঠতার অভাব ছিল। একইসঙ্গে ভারতের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর প্রচেষ্টাও থামেনি তাদের। তাই ভারতও বাধ্য হয় পাল্টা জবাব দিতে।
অপারেশন সিঁদুরের পর আরও তিনদিন দুই পড়শি দেশের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। এরপর ১০ মে দুপুর ৩টে ৩৫ মিনিট নাগাদ ডিজিএমও স্তরে কথা হয়। সেই বৈঠকেই ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়।
এর আগে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছিলেন যে পাকিস্তানের তরফেই প্রথম সংঘর্ষ বিরতির প্রস্তাব এসেছিল। ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানের সেনাঘাঁটিতে হামলা চালানোর পর এই আর্জি এসেছিল।
ভারত সরকার সূত্রে খবর, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের জঙ্গি, তাদের সহকারী সহ মোট ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে ভারতের এয়ারস্ট্রাইকে ২০ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে মাসুদ আজহারের আত্মীয়রাও রয়েছে।