
নয়াদিল্লি: এটা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। পাকিস্তান যে ‘চুপ’ করে থাকবে না, সেটাই ভালই বুঝতে পারছে ভারত। এমনকি, অপারেশন সিঁদুরেই যে ব্যাপারটা শেষ হয়ে যাবে এরকম নয়। বুধবারের প্রত্যাঘাতের পর পাকিস্তানের কাছে আরও চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে ভারত, দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। ইতিমধ্যে, ‘পূর্ণ শক্তিতে জবাব দেওয়া হবে’, বলে বার্তা দিয়েছে পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ। শঙ্কার আবহ যে একটা থাকছে এই নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই।
সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে ফের একবার বড় আকারের এয়ার স্ট্রাইকের জন্য তৈরি হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ইতিমধ্য়েই কেন্দ্রের তরফ থেকে পৌঁছে গিয়েছে নির্দেশ। তবে কি ‘অপারেশন সিঁদুর ২.০’-এর জন্য তৈরি ভারত? পাকিস্তান কোনও পদক্ষেপ করলেই, ‘প্ল্যান বি’ দিয়ে তাদেরকে চাপে ফেলবে বায়ুসেনার ত্রিস্তরীয় যুদ্ধ বিমান।
বায়ুসেনা অন্দর থেকে খবর মিলেছে, জাগুয়ার এবং মিগ যুদ্ধবিমানকে ২৯ ফরোয়ার্ড অংশে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তরফে। পিছন পিছন যাবে রাফাল ও সুখোই-৩০ এবং সবার শেষে থাকবে তেজস যুদ্ধবিমান। একেবারে ত্রিস্তরীয় ব্যবস্থা। পাকিস্তান একটু উচ্চবাচ্য করলেই তাদের ‘ক্ষমতা’ বুঝিয়ে দেবে ভারত।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রত্যাঘাত নিয়ে বেলা সাড়ে ১০টা থেকে সাংবাদিক বৈঠকে বসেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রীও। বৈঠক থেকে পহেলগাঁওয়ের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বিদেশসচিব বলেন, ‘মুম্বই হামলার পর দেশে ঘটা এটি সবচেয়ে বড় সন্ত্রাস নাশকতার ঘটনা। যে সন্ত্রাসে মদত দেয় পাকিস্তান। নিজ ইচ্ছায় জঙ্গিদের শরণাস্থল হয়ে উঠেছে তারা। পহেলগাঁওয়ের পর দেশের কোণায় কোণায় যে ভাবে ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল। সেই ভিত্তিতে ভারতের একটা পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।’ এরপরেই তাঁর সংযোজন, ‘এই ঘটনার পরে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ রুখতে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি, ভারতের বিরুদ্ধে আগামী দিনেও হামলা হতে পারত। তাই তার আগেই এই প্রত্যাঘাত আবশ্যক ছিল।’