
নয়াদিল্লি: পাকিস্তান-বাংলাদেশকে একযোগে আক্রমণ নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার প্রায় প্রতিদিনের মতোই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। সেখানেই দুই দেশকে এক সুতোয় টেনে আক্রমণ করেন তিনি। প্রথমেই ফিরিয়ে দেন শরিফের প্রস্তাব। তারপরেই নস্য়াৎ করেন ইউনূসের অযৌক্তিক দাবিকে।
চলতি সপ্তাহেই ইরান সফরে গিয়ে সেদেশের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেস্কিয়ানকে পাশে দাঁড় করিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, তিনি ভারতের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চান। জল, সন্ত্রাস, সীমান্ত সব কিছু নিয়েই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র খুঁজতে চান। আন্তর্জাতিক মহলের দাবি, মূলত ইরানের রাষ্ট্রপতির চাপেই এই বুলি বলতে বাধ্য হয়েছে শরিফ।
বৃহস্পতির বিকালে পাক প্রধানমন্ত্রী সেই ‘শরিফ’ হওয়ার চেষ্টাকেই একেবারে ছুড়ে ফেলে দেয় সাউথ ব্লক। শেহবাজের প্রস্তাবকে ফিরিয়ে দিয়ে নয়াদিল্লি সাফ জানায়, ‘সন্ত্রাসবাদ ও আলোচনা কখনওই এক সঙ্গে চলতে পারে না। এই বৈঠক প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট। কয়েক বছর আগে পাকিস্তানের হাতে যে দাগী সন্ত্রাসবাদীগুলির তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছিল, তাদের আমাদের হাতে তুলে দিক। তবেই আলোচনা হতে পারে।’
বিদেশমন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ‘যদি বৈঠকে জম্ম ও কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা করতে হয়, তবে তার আগে আমাদের পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে দিক।’
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশের দিকেও তোপ দেগেছে বিদেশমন্ত্রক। এদিন মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ভারতের বিরুদ্ধে ইউনূসের তোলা অভিযোগগুলি নস্যাৎ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা ও শাসন সংক্রান্ত সমস্যার দায় শুধুমাত্র সেই দেশের সরকারের উপরেই বর্তায়। যদি কেউ বলে যে বহিরাগতের কারণে বা অন্য কেউ এই অস্থিরতা তৈরি করছে। তা হলে বলব, আসলে তারা মানুষের নজর ঘোরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।’ ওয়াকিবহাল মহল বলছে, পাকিস্তান ঠিক যেমন নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার দায় ভারতের দিকে ঠেলে দেয়। একই পথ অবলম্বন করেছে বাংলাদেশও। এবার সেই কৌশলকেই ভাঙল নয়াদিল্লি।