Indian Army: বাজের নজর! নিকেশ হবে ৪০ কিলোমিটার দূরের শত্রুও, সেনার হাতে পাহাড় সমান ‘বিশেষ সামরিক বন্দুক’
Indian Army: এই নতুন প্রযুক্তির হাত ধরে আরও মজবুত হতে 'সেনা-বল'। এর আগেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বা LAC-তে চিনা হামলা ঠেকাতে আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জ তৈরি করেছিল ভারত। এবার সেই সূত্র ধরেই নতুন বছরে দেশের সকল সংবেদনশীল সীমান্ত এলাকায় দাঁড়াতে চলেছে এই নতুন আর্টিলারি গান।

নয়াদিল্লি: দিন কয়েক আগেই সীমান্তে পাক ও চিনা নজরদারি এড়াতে ‘অশ্বিনী’কে নামানোর প্রস্তাব দিয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। মোট ২ হাজার ৯০৬ কোটি টাকার বিনিময়ে দেশের অন্যতম প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা DRDO-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান BEL-এর থেকে মোট ১৮টি লো-লেভেল ট্রান্সপোর্টেবল ব়্যাডার্স (LLTR) কিনতে চলেছে তারা।
এবার সেই ‘অশ্বিনী’কে নামানোর পাশাপাশি দেশের সুরক্ষার জন্য আরও একটি পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমোদন পেয়ে গেল কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার, সেনার জন্য ৩০৭টি অ্যাডভান্সড টোয়েড আর্টিলারি গান সিস্টেমস (Advanced Towed Artillery Gun System) কেনার অনুমোদন দিয়েছে দেশের প্রতিরক্ষার জন্য নিয়োজিত মন্ত্রিসভার কমিটি। এই অত্য়াধুনিক প্রযুক্তির ‘আর্টিলারি গান’ কিনতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের খরচ পড়তে চলেছে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা।
জানা গিয়েছে, প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা DRDO-এর সঙ্গে বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা যৌথ উদ্যোগে এই আর্টিলারি গান সিস্টেমস তৈরি করছে। সাধারণ ভাবেই যে কোনও অত্য়াধুনিক প্রযুক্তির সেনা সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ভারত অধিকাংশ সময়ই রাশিয়া কিংবা আমেরিকার মতো দেশগুলির উপর নির্ভর করে থাকে। কিন্তু এই ‘বিশেষ সেনা বন্দুক’ নির্মাণে সেই প্রয়োজন অনেকটাই নেই বললে চলে। জানা গিয়েছে, এই আর্টিলারি গান সিস্টেমস তৈরিতে ব্যবহৃত ৬৫ শতাংশ কাঁচামাল দেশের অন্দরেই তৈরি হয়। যা দিনশেষে ভারতকে প্রতিরক্ষা খাতেও ‘আত্মনির্ভর’ করে তুলবে।
‘সুপার-পাওয়ার’ হবে ভারত
এই নতুন প্রযুক্তির হাত ধরে আরও মজবুত হতে ‘সেনা-বল’। এর আগেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বা LAC-তে চিনা হামলা ঠেকাতে আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জ তৈরি করেছিল ভারত। এবার সেই সূত্র ধরেই নতুন বছরে দেশের সকল সংবেদনশীল সীমান্ত এলাকায় দাঁড়াতে চলেছে এই নতুন আর্টিলারি গান।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আর্টিলারি গানের দীর্ঘ ব্যারেলের মাধ্যমে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে থাকা শত্রুকেও নিকেশ করে দেওয়া যাবে সহজেই। এমনকি, শত্রুরা ওতো দূরে থাকলেও এই ‘বিশেষ বন্দুক’ মিনিটেই লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম।





