
হুঙ্কার দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাফ বলেছিলেন, এমন জবাব দেব যে কল্পনাও করতে পারবেন না। হুঙ্কার দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী থেকে অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। শেষ পর্যন্ত মাঝরাতে অ্যাকশন ভারতের।

রাত ১ টা ৪০ মিনিট থেকে ২ টা ২০ মিনিট পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। তাতেই তোলপাড় গোটা বিশ্ব। পাকিস্তান পদক্ষেপ করলেই প্ল্যান বি রেডি ভারতের।

সূত্রের খবর, গোয়েন্দাদের কাছ থেকে এসেছিল জঙ্গিঘাঁটির নিখুঁত অক্ষাংশ। তারপরই হানার পরিকল্পনা। কোন পথে আক্রমণ, কীভাবে আক্রমণ সবটাই ঠিক হয়ে যায়।

বায়ু, নৌ ও পদাতিক সেনাদের যৌথ পরিকল্পনা হয়ে যায়। প্রিসিসন গাইডেড অ্যাকশন- জিপিএস ও লেজার টেকনোলজির মাধ্যমে জঙ্গিঘাঁটিকে শনাক্ত করা হয়।

ড্রোন স্যাটেলাইট ও রেডারের মাধ্যমে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ট্যাকিং। যাতে আশপাশের কোনও জায়গার যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সাধারণ মানুষের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সে কারণেই এত তোড়জোড়।

লস্কর ও জৈশের একাধিক ডেরা পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। হামলা হয়েছে মার্কাজ সুভন আল্লাহে। এটা জইশ ই মহম্মদের হেড কোয়ার্টার বলে খবর। হামলা হয়েছে শিয়ালকোটে মসকর রাহিল শহিদে। এটা হিজবুল মুজাহিদিনের জঙ্গিঘাঁটি।

প্রসঙ্গত, বৈসরণ ভ্য়ালিতে জঙ্গিদের হাতে হিন্দু পর্যটকদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই বদলার রব উঠেছিল গোটা দেশে। কিন্তু, প্রত্যাঘাত কবে হবে তার দিন গুনছিল ভারত। শেষ পর্যন্ত ৭ মে মধ্যরাতেই ৯ জঙ্গি ঘাঁটি গুড়িয়ে দেয় ভারত।