Fisherman killed by Pakistan Force: বুঝতে পারেননি জলসীমা, এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ভারতীয় মৎসজীবীকে খুন করল পাক বাহিনী
Indian Fisherman Shot Dead: এই ঘটনা জানার পরই তীব্র সমালোচনা করেছে ভারত সরকার।কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, "গোটা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা করা হবে।ঠ
নয়া দিল্লি: আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভারতীয় মৎসজীবীকে (Fisherman) গুলি করে খুন করল পাকিস্তানের নৌসেনা (Pakistan’s Maritime Security Agency )। এই ঘটনার খবর মিলতেই চূড়ান্ত সমালোচনা করা হয়েছে ভারতের তরফে। দায়ের করা হয়েছে এফআইআর(FIR)-ও।
শনিবার বিকেলে গুজরাট(Gujarat)-র ওখা বন্দরের কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় সতর্ক না করেই গুলি চালায় পাক নৌসেনা। গুলির আঘাতে মৃত্যু হয় এক মৎসজীবীর, আহত হয়েছেন আরও এক মৎসজীবী। বর্তমানে গুজরাটের একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, শনিবার বিকেলে জলপরী নামক একটি নৌকা নিয়ে গুজরাটের সমুদ্রে মাছ ধরতে যান সাত ভারতীয় মৎসজীবী। ভুলবশত তারা আন্তর্জাতিক জলসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যেতেই নৌকা লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে পাকিস্তানি নৌসেনা। গুলির আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক মৎসজীবীর।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই মৎসজাবীর নাম শ্রীধর রমেশ চামরে (৩২)। তিনি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও ছয়জন মৎসজীবী শনিবার মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই গুলি চালায় পাক নৌসেনা। উল্লেখ্য, জলের উপর কাঁটাতারের বেড়া সম্ভব না হওয়ায়, কেউ আন্তর্জাতিক জলসীমার কাছাকাছি চলে আসলে তাঁকে প্রথমে সতর্ক করাই নিয়ম। এক্ষেত্রে মৎসজীবীদের দাবি, তাদের কোনও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি, সরাসরি তাদের উপর গুলি চালানো হয়।
এই ঘটনা জানার পরই তীব্র সমালোচনা করেছে ভারত সরকার।কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, “গোটা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা করা হবে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।”
দেবভূমি দ্বারকার পুলিশ সুপার সুনীল যোশীও জানান, ওই নৌকায় মোট সাতজন মৎসজীবী ছিলেন। আচমকাই ওই মৎসজীবীদের উপরে গুলি চালায় পাকিস্তানি নৌসেনা। রবিবার শ্রীধর রমেশ চামরে নামক মৃত ওই মৎসজীবীর দেহ গুজরাটের ওখা বন্দরে নিয়ে আসা হয়। এরপরই নভি বন্দর পুলিশে এফআইআর দায়ের করা হয়।
মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার ভাদরাই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ওই মৎসজীবী। তাঁর মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা গ্রামই। জানা গিয়েছে, জয়ন্তীভাই রাঠোর নামক এক ব্যক্তির কাছ থেকে নৌকা ভাড়া করে শনিবার তিনি সমুদ্রে গিয়েছিলেন। যে সময়ে পাক নৌসেনা গুলি চালায়, তিনি কেবিনের ভিতরে ছিলেন। গুলি সরাসরি তাঁর বুকে এসে লাগে, ঘটনাস্খলেই মৃত্যু হয় তাঁর। নৌকার প্রধান নাবিকও পাকিস্তানের এলোপাথাড়ি গুলিতে আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার ভারতীয় নৌকা ও মৎসজীবীদের উপর বিনা কারণে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানি নৌসেনার বিরুদ্ধে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই পাকিস্তান জানায় যে, ২৭০ জন মৎসজীবী এবং ৪৯ জন সাধারণ ভারতীয় নাগরিক তাদের জেলে বন্দি রয়েছে। ভারতের তরফেও জানানো হয়, পাকিস্তানের ৭৭ জন মৎসজীবী এবং ২৬৩ জন পাক নাগরিক অনুপ্রবেশের অপরাধে ভারতীয় জেলে বন্দি রয়েছে।
আরও পড়ুন: Delhi Air Pollution: আগের থেকে ভাল হলেও দিল্লির বাতাস এখনও ‘বিষ’