Delhi Air Pollution: আগের থেকে ভাল হলেও দিল্লির বাতাস এখনও ‘বিষ’
Severe Air Quality in Delhi: পরিস্থিতি একটু হলেও ভাল হয়েছে আগের তুলনায়, তবে রাজধানীর বাতাস এখনও যথেষ্টই বিপজ্জনক।
নয়া দিল্লি : দীপাবলিতে বাজি ফাটানোর ফল এখন ভুগতে হচ্ছে দিল্লিবাসীকে। বিষ-বাতাস যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না রাজধানীর। দিল্লির বাতাসের গুণগত মান এখনও বিপজ্জনক। রবিবার সকালেও বাতাসের গুণগত মানের সূচক ছিল ৪৩৬। আশার কথা এটাই যে পরিস্থিতি একটু হলেও ভাল হয়েছে আগের তুলনায়, তবে রাজধানীর বাতাস এখনও যথেষ্টই বিপজ্জনক।
শুক্রবার, দীপাবলির পরের দিন পরিস্থিতি ছিল সবথেকে খারাপ। বাতাস বিষাক্ত হয়ে উঠেছিল। শনিবারও রাজধানীর বেশ কিছু এলাকার বাতাস ‘বিষাক্ত’ পর্যায়ে ছিল। আনন্দ বিহার এবং ফরিদাবাদে বাতাসে গুণগত মানের সূচক ৬০০-র উপরে ছিল।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই বায়ুদূষণে জেরবার রাজধানী। প্রতি বছরই শীতের শুরুতে শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে হাজির হন দিল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বাসিন্দা। প্রতিবারই দূষণকেই দায়ী করা হয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাস্তায় জল ছেটানো শুরু হয়েছে। জোড়-বিজোড় পদ্ধতিতে গাড়ি চালানো হবে কিনা, তা নিয়েও ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে সরকার।
বাজি পোড়ানো বন্ধ হলেও এখনও শুকনো খড় পোড়ানো জারি থাকায় আগামী কয়েকদিনও বাতাসে দূষিত কণার পরিমাণ কমবে না বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তারা যেন বাড়িতেই থাকেন। একাধিক হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট, চোখ-গলা জ্বালা সহ নানা সমস্যা নিয়ে রোগী ভর্তির সংখ্যাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দিল্লিবাসীদের অনেকেই দীপাবলির রাত থেকেই গলা ও চোখ জ্বালা অনুভব করেছেন বলে জানিয়েছেন। বিশেষ করে দিল্লি সংলগ্ন এলাকাগুলিতে পরিস্থিতি ছিল ভয়ঙ্কর। ফরিদাবাদে বাতাসের গুণগত মানের সূচক ছিল ৪৬৯, গ্রেটার নয়ডায় বাতাসের গুণগত মানের সূচক ছিল ৪৬৪, গাজিয়াবাদে এই সূচক ছিল ৪৭০, গুরগাঁওয়ে এই সূচক ছিল ৪৭২ এবং নয়ডায় বাতাসের গুণগত মানের সূচক ছিল ৪৭৫।
২০২২ সালের ১ জানুয়ারি অবধি দিল্লিতে বাজি ফাটনো নিষিদ্ধ থাকলেও, দক্ষিণ দিল্লির লাজপত নগর, উত্তর দিল্লির বুরারি, পশ্চিম দিল্লির পশ্চিম বিহার এবং পূর্ব দিল্লির শাহদারার বাসিন্দারা জানিয়েছেন সন্ধ্যে ৭ টা নাগাদ বাজার সঙ্গে সঙ্গে দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় বাজি ফাটানোর শুরু হয়ে যায়।
গুরুগ্রাম এবং ফরিদাবাদ থেকে উচ্চ তীব্রতার শব্দবাজি ফাটানোর খবরও সামনে এসেছে। দিল্লি সরকারের মত হরিয়ানা সরকারও সরকারও রাজধানী সংলগ্ন ১৪ টি জেলায় যেকোনও ধরনের বাজি কেনাবেচার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
এদিকে রবিবার সকালেও গুরগাঁওতে বাতাসের গুণগত মানের সূচক ছিল ৪৬০, গাজিয়াবাদে সূচক ছিল ৪৫৮, নয়ডায় ছিল ৪৫৫ এবং ফরিদাবাদে বাতাসের গুণগত মানের সূচক ৪৪৯ ছিল।
আরও পড়ুন : Delhi Air Pollution : সিগারেটের ধোঁয়ার থেকেও ক্ষতিকর রাজধানীর বাতাস, কমছে দিল্লিবাসীর আয়ু