
জলগাঁও: মহারাষ্ট্রের জলগাঁও জেলার পাচোরা তহসিলের খেড়গাও নন্দিচে গ্রামের বাসিন্দা মনোজ জ্ঞানেশ্বর পাতিল। বিয়ে হয়েছে ৫দিন আগে। ৫দিন পরেই বাড়ি ছাড়লেন দেশের জন্য। ৫ মে যামিনীর সঙ্গে বিয়ে হয় মনোজের। কিন্তু, সীমান্তে যে লাগাতার গোলাবর্ষণ করে চলেছে পাকিস্তান। চড়ছে উত্তেজনার পারদ। আর এই অবস্থায় ঘরে বসে থাকতে পারেন দেশের বীর জওয়ানরা!
মধুচন্দ্রিমা দূর কী বাত! বিয়ের পরদিনই আসে ফোন। যোগ দিতে হবে ডিউটিতে। ১০ তারিখ রওনা হন মনোজ। পুরো পরিবার হাজির তাঁকে ট্রেনে তুলতে। স্ত্রী যামিনীর হাতের মেহেন্দি এখনও স্পষ্ট। স্বামী যুদ্ধে যাচ্ছেন, কান্নায় ভেঙে পড়লেন সদ্যবিবাহিতা। ট্রেন ছাড়ার আগে মনোজকে যামিনীর বার্তা- আমার সিঁদুর হবে দেশের নামে।
একা স্ত্রী নন, মনোজকে ছাড়তে স্টেশনে আসেন পরিবাররের অনেকেই। আসেন আত্মীয়-পরিজনরাও। সকলের চোখেই জল। কিন্তু, মনে জেদ। হার মানবেই পাকিস্তান। তাই সঙ্কটকালে আর মনোজকে ঘরে বেঁধে রাখতে চান না কেউ। ভগবানের কাছে একটাই প্রার্থনা, ভাল থাকুক ঘরের ছেলে। মনোজ বলছেন, যেতে তো হবেই, ভারত মা ডাকছে যে। শেষে ট্রেন উঠেও হাসিমুখেই বিদায় জানালেন সকলের। ততক্ষণে দূরে দাঁড়িয়ে সজল চোখে ভালবাসার মানুষকে প্রাণভরে দেখে নিচ্ছেন নববধূ।