আজ উড়ছে না গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লার স্পেসক্রাফট, ইতিহাস গড়ার পথে আরও কিছুটা অপেক্ষায় ভারতের
ISRO: আর কয়েকমাস বাদেই ভারতের 'গগনায়ন' অভিযান রয়েছে। ভারতীয় মহাকাশচারীদের চাঁদে পাঠানোর সেই অভিযানের জন্যই শুভাংশু শুক্লা সহ চারজনকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে এই Axiom-4 মিশনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যান তিনি।

নয়া দিল্লি: মহাকাশে ফেরার অপেক্ষায় ভারতীয় মহাকাশচারীরা। প্রায় ৪০ বছর পর ফের মহাকাশ অভিযানে অংশ নিচ্ছেন ভারতীয় মহাকাশচারী। কিন্তু আপাতত পিছিয়ে গেল সেই অভিযান। আজ, মঙ্গলবার Axiom-4 স্পেসক্রাফট ওড়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে খারাপ আবহাওয়ার কারণে পিছিয়ে গিয়েছে সেই মিশন। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে ১০ জুন উড়বে স্পেসক্রাফট।
রাকেশ শর্মার পর এই প্রথমবার ভারতীয় মহাকাশচারী হিসেবে মিশনে অংশ নিয়েছেন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। Axiom-4 মিশনে পাইলট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন তিনি। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে যে ১০ জুনের বদলে ১১ জুন অর্থাৎ বুধবার হবে ওই লঞ্চ। বুধবার ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় উড়ে যাবে ওই মহাকাশযান।
এই মিশনে ইন্টারন্যাশনার স্পেস স্টেশনে প্রথমবার পা রাখবেন কোনও ভারতীয় মহাকাশচারী। তবে এর আগে ওই স্পেস স্টেশনে গিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনীতা ইউলিয়ামস। কিছুদিন আগেই সেই অভিযান শেষ করে ফিরেছেন তিনি। তবে শুভাংশু শুক্লার এই অভিযান ভারতের কাছে অন্যতম একটা ‘মাইলস্টোন’ হতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, ২৮ ঘণ্টার ওই মিশন শেষ করে স্পেশ স্টেশনে পৌঁছবেন শুভাংশু সহ চার মহাকাশচারী। থাকবেন হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ডের দুই মহাকাশচারীও। এছাড়া মিশনের কমান্ডার হিসেবে থাকবেন অভিজ্ঞ মহাকাশচারী পেগি হুইটসন। একাধিক মিশনে প্রায় ৬৭৫ দিন মহাকাশে কাটানোর অভিজ্ঞতা আছে তাঁর।
ফ্লোরিডায় নাসা-র ‘কেনেডি স্পেস সেন্টার’ থেকে উড়বে সেই স্পেসক্রাফট। বুধবার লঞ্চ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত ১০টার কাছাকাছি সময়ে স্পেশ স্টেশনে পৌঁছবে ওই স্পেসক্রাফট। এরপর ডকিং করতে অর্থাৎ স্পেসক্রাফট থেকে মহাকাশচারীদের স্পেশ স্টেশনে প্রবেশ করতে লাগবে আরও ২ ঘণ্টা।
আর কয়েকমাস বাদেই ভারতের ‘গগনায়ন’ অভিযান রয়েছে। ভারতীয় মহাকাশচারীদের চাঁদে পাঠানোর সেই অভিযানের জন্যই শুভাংশু শুক্লা সহ চারজনকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে এই Axiom-4 মিশনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যান তিনি। স্পেশ স্টেশনে গিয়ে একাধিক গবেষণায় অংশ নেবেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, তাঁর এই অভিযান ভারতের ‘গগনায়ন’ অভিযানের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।





