India’s Defense System: সুদর্শন দিয়ে ‘গলা’ কাটল পাকিস্তানের, কী এই অস্ত্র, কীভাবে কাজ করে, জানুন
India’s Defense System: এস-৪০০ কেনার জন্য প্রথম চুক্তি হয় ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর। ৫ অক্টোবর ২০১৬তে, ব্রিকস সামিট চলাকালীন, ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে ‘ফাইনাল টকও’ হয়ে যায়। ৫ অক্টোবর ২০১৬তে, ব্রিকস সামিট চলাকালীন, ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে চুক্তি হয়।

নয়া দিল্লি: ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পরে গর্জে উঠেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শহবাজ শরিফ। এক্কেবারে রণহুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, ভারতকে পস্তাতে হবে। আমরা প্রতি ফোঁটা রক্তের জবাব দেব। পাকিস্তান যে পাল্টা আক্রমণ করতে পারে সে ব্য়াপারে একপ্রকার নিশ্চিত ছিল ভারত। আর সেই আশঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হল। ভারতের উত্তর ও পশ্চিম প্রান্তের সেনা ছাউনিগুলি লক্ষ্য করে আঘাত হানার চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু, ভারতের হাতে থাকা ‘সুদর্শন চক্রেই’ একেবারে গলা কাটা গিয়েছে পাকিস্তানের ‘নাপাক’ চেষ্টার। কথা হচ্ছে, ভারতের সবচেয়ে মারাত্মক ডিফেন্স সিস্টেম S-৪০০ নিয়ে। পাকিস্তান কোমর বেঁধে মাঠে নামতেই কোমরটাই ভেঙে দিয়েছে ভারত। ভারতের ডিফেন্স সিস্টেম পাকিস্তানের মিসাইল, ড্রোন ধ্বংস করে ফেলেছে। নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে লাহোরে থাকা পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
অনেকেই ভারতের এর পরাক্রমশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ভারতের নিজস্ব ‘আয়রন ডোম’ বলেও ডাকে। সেনারা ডাকেন ‘সুদর্শন’ বলে। শ্রীকৃষ্ণের সুদর্শনচক্রের তেজে যেমন ফালাফালা হয়ে যায় অসুররা, ঠিক তেমনই ভারতকে লক্ষ্য করে যত শক্তিশালী মিসাইলই ছোড়া হোক ভারতের এস-৪০০ চক্রব্যুহে ঢুকে পড়লেই চোখের নিমেষেই তা ছত্রখান হয়ে যায়। এই বিশাল শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রাশিয়ার থেকে আসে ভারতের কাছে।
সূত্রের খবর, এস-৪০০ কেনার জন্য প্রথম চুক্তি হয় ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর। ৫ অক্টোবর ২০১৬তে, ব্রিকস সামিট চলাকালীন, ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে ‘ফাইনাল টকও’ হয়ে যায়। ৫ অক্টোবর ২০১৬তে, ব্রিকস সামিট চলাকালীন, ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে চুক্তি হয়। তাতেই ঠিক হয় প্রাথমিকভাবে ৫টি এস-৪০০ সরবরাহ করবে রাশিয়া। ৫ অক্টোবর ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫.৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সেই চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল।
১ লা জুলাই, ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সময় প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিল বা ডিএসি চুক্তি অনুযায়ী এস-৪০০ কে মাঠে নামানোর জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। চুক্তি স্বাক্ষরের ২৪ মাস অর্থাৎ ২ বছরের মধ্যে এই সামরিক অস্ত্র আসা শুরু হবে বলে আশা করেছিল ভারত। তবে সে ক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হয়। শেষ পর্যন্ত চুক্তি হওয়ার ৬০ মাসের মধ্যে তা ভারতের হাতে আসে। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে এস-৪০০ আনার কাজ শেষ হয় বলে খবর।
কীভাবে কাজ করে এই মিসাইল?
৬০০ কিলোমিটার দূর থেকেও শত্রুর মিসাইল ধেয়ে এলেও তাকে আগাম চিহ্নিত করতে পারে এই এস৪০০। এর মধ্যে রয়েছে চার ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র। শত্রু শিবিরের মিসাইল এস৪০০-র ৪০০ কিলিমিটারের মধ্যে এলেই তাকে নিখুঁত নিশানায় ধ্বংস করে দেয় ভারতের সুদর্শন চক্র। ফাইটার জেট, ব্যালিস্টিক মিসাইল বা ড্রোন- শত্রু শিবিরের কোনও সমরাস্ত্রই এর ধারেকাছে ঘেঁষতে পারে না। এলেই ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। বুধবার পাকিস্তানের প্রত্যাঘাতের জবাবও এই রাস্তাতেই দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এস -৪০০ থেকে মোট ৭২টি মিসাইল ছোঁড়া হয়েছে। যেগুলির প্রায় সবক’টি নির্ভুলভাবে আঘাত করেছে পাকিস্তানের মিসাইল এবং ড্রোনকে।
