IndiGo: ইন্ডিগোর বিমানের ইঞ্জিনে ত্রুটি, গোয়ায় ১৮৭ যাত্রীকে উদ্ধার করল নৌসেনা
IndiGo flight at Goa Airport: মঙ্গলবার (২৩ অগস্ট), গোয়া বিমানবন্দরে মুম্বইগামী ইন্ডিগো সংস্থার একটি বিমানের ডান ইঞ্জিনে ত্রুটি ধরা পড়ল। বিমানের ১৮৭ জন যাত্রীকে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনার একটি দল।
গোয়া: মঙ্গলবার (২৩ অগস্ট), গোয়া বিমানবন্দরে ফের বিপত্তি ঘটল মুম্বইগামী ইন্ডিগো সংস্থার একটি বিমানে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী রানওয়েতে যাওয়ার সময়ই বিমানটির ডান ইঞ্জিনে ত্রুটি ধরা পড়ে। বিমানটিতে সেই সময় ১৮৭ জন যাত্রী ছিলেন। ইঞ্জিনে ত্রুটি ধরার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের উদ্ধার সাহায্যের জন্য নৌবাহিনীর একটি দলকে ডাকা হয় বলে জানিয়েছেন গোয়া বিমানবন্দরের ডিরেক্টর। নৌবাহিনীর দলটি প্রয়োজনীয় পরিদর্শনের জন্য বিমানটিকে ট্যাক্সি বে-তে নিয়ে যায়। প্রসঙ্গত, গোয়া বিমানবন্দরটি নৌবাহিনীর আইএনএস হানসা ঘাঁটির একটি অংশ।
গোয়া বিমানবন্দরের ডিরেক্টর এসভিটি ধনঞ্জয় রাও বলেছেন, “রানওয়েতে যাওয়ার সময় গোয়া বিমানবন্দরে মুম্বইগামী ইন্ডিগো বিমানের ডান ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়। নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল যাত্রীদের বিমানটি থেকে নামিয়ে নিয়ে আসে।” সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুম্বইগামী অন্য এক উড়ানে ওই যাত্রীদের মুম্বই যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ১টা বেজে ২৭ মিনিট নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। ইন্ডিগোর ৬ই ৬০৯৭ বিমানটিতে মোট ১৮৭ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে ৪ জন শিশুও ছিল।
Pathetic airlines @IndiGo6E 6E6097 Mumbai to goa 23rd Aug. Cancelled on the runway just before takeoff bcz of fire in the engine. All passengers are suffering no humanity shown by indigo pic.twitter.com/9Ru3dIsj3O
— Dr.Vijay Amera (@drvijay2005) August 23, 2022
গোয়া বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাক্সি বে থেকে বেরিয়ে রানওয়েতে যাওয়ার সময়ই ইন্ডিগোর ওই বিমানটির পাইলট ইঞ্জিন সংক্রান্ত একটি সতর্কতা পেয়েছিলেন। এর পর, পাইলট পদ্ধতি মেনে প্রয়োজনীয় পরিদর্শনের জন্য বিমানটিকে ট্যাক্সি বে-তে ফিরিয়ে আনেন। সূত্র আরও জানিয়েছে, এই ঘটনার কারণে অন্য কোনও বিমানের চলাচলে কোনও প্রভাব পড়েনি।
সাম্প্রতিক সময়ে, ভারতে একের পর এক বিমানে ত্রুটি ধরা পড়ছে। দিন দুই আগেই দিল্লি থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগো সংস্থার একটি উড়ানের মালবাহী অংশ থেকে ধোঁয়া বের হওয়ার সতর্কতা এসেছিল। ১৬০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে বিমানটি নিরাপদেই বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল। পাইলটরা কার্গো হোল্ডে ধোঁয়ার সতর্কতা পেয়ে বিপদ সঙ্কেত দিয়েছিলেন। পরে, অবশ্য দেখা যায় ওই সতর্কতা মিথ্যা ছিল। তাই বিপদ সঙ্কেতও বাতিল করা হয় এবং উড়ানটি নিরাপদে অবতরণ করে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে, আবার গো ফার্স্ট এয়ারলাইনের একটি গাড়ি, দিল্লি বিমানবন্দরে পার্ক করা ইন্ডিগো এ৩২০ নিও বিমানের নিচে ঢুকে গিয়েছিল। বিমানের নাক অংশের চাকার সঙ্গে অল্পের জন্য সংঘর্ষ এড়িয়েছিল গাড়িটি। তার আগে ২৯ জুলাই, অসমের যোরহাট থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগো সংস্থার একটি বিমান টেক অফের সময় রানওয়ে থেকে পিছলে বেরিয়ে গিয়েছিল। বিমানটির চাকা কাদামাটিতে আটকে গিয়েছিল। যার ফলে উড়ানটি বাতিল করতে হয়। তারও আগে, স্পাইসজেট সংস্থার একের পর এক বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় তাদের উড়ান পরিচালনা সীমাবদ্ধ করেছিল ডিজিসিএ।