Indore nurse: মৃত নার্সের শরীরে মিলল অতিরিক্ত অ্যানাস্থেসিয়া, নেপথ্যে ব্যর্থ প্রেম

Indore nurse injects self with anesthesia: ময়নাতদন্তে মৃত নার্সের শরীরে মিলেছিল অতিরিক্ত অ্যানাস্থেসিয়া বা অজ্ঞান করার ওষুধ। এই নিয়েই ঘনিয়েছিল রহস্য।

Indore nurse: মৃত নার্সের শরীরে মিলল অতিরিক্ত অ্যানাস্থেসিয়া, নেপথ্যে ব্যর্থ প্রেম
অ্যানাস্থেসিয়া পাওয়াটা নার্সের পক্ষে কঠিন ছিল না
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2023 | 6:37 PM

ইন্দোর: ময়নাতদন্তে মৃত নার্সের শরীরে মিলেছিল অতিরিক্ত অ্যানাস্থেসিয়া বা অজ্ঞান করার ওষুধ। এই নিয়েই ঘনিয়েছিল রহস্য। তবে, তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে নিজেই নিজের শরীরের অ্যানাস্থেসিয়া ইনজেক্ট করেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। অ্যানাস্থেসিয়া পাওয়াটা তাঁর পক্ষে কঠিন ছিল না। প্রেমে ব্যর্থ হয়েই তিনি ইনজেকশনে অ্যানাস্থেসিয়া ভরে, নিজের রক্তবাহে প্রবেশ করিয়েছিলেন। সংজ্ঞাহীন করার জন্য যে ডোজ়ের অ্যানাস্থেসিয়া লাগে, তার থেকে অনেক বেশি ডোজ়ের। আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে ২৭ বছরের পূজা গঞ্জনের। রবিবার এমনটাই জানিয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরের পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার, ইন্দোর শহরের এরোড্রোম থানা এলাকায়। রবিবার, পুলিশ ইন্সপেক্টর সঞ্জয় শুক্লা জানিয়েছেন, নিজের বাড়িতেই মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল পূজা গঞ্জনকে। তাঁর ঘর থেকে পাওয়া গিয়েছিল একটি দুই পৃষ্ঠার চিঠিও। সেই চিঠিটিই ছইল পূজার সুইসাইড নোট। দুই পৃষ্ঠার চিঠিতে পূজা জানিয়েছেন, যে হাসপাতালে তিনি কাজ করতেন, সেই হাসপাতালের এক সহকর্মীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু, এরপর ওই ব্যক্তি অন্য এক হাসপাতালে চাকরি নিয়ে চলে যান। তারপর, অন্য এক মহিলার সঙ্গে ওই ব্যক্তির বিয়ে হয়। প্রেমে ব্যর্থতার অবসাদেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার, ময়নাতদন্তের পর পূজা গঞ্জনের দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

পূজার মৃত্যুর পর, যে ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি দাবি করেছেন, ওই ব্যক্তির সঙ্গেও দেখা করেছে পুলিশ। পুলিশের কাছে এই বিষয়ে একটি লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। পূজার সঙ্গে যে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর দাবি, প্রথম থেকেই পূজাকে তিনি সাফ জানিয়েছিলেন যে, তাঁকে বিয়ে করা সম্ভব নয়। কারণ, বাড়ি থেকে ইতিমধ্যেই আরেকজন মেয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক করা হয়েছে। এরপরও পূজা তা নামতে চাননি এবং তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। যার জেরেই অন্য হাসপাতালে কাজ নিয়ে চলে যেতে বাধ্য হন। পুলিশ তাঁর বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করে দেখছে। প্রাথমিক তদন্তের পর, পূজা যে আত্মঘাতী হয়েছেন, এই বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। তবে, এই ঘটনার পিছনে পূজার প্রাক্তন প্রেমিকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।