নয়া দিল্লি: হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা ঘিরে যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে (Jahangirpuri), তা থামাতে গিয়েই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দিল্লি পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মেধালাল মীনা (Medhalal Meena)। হামলাকারীর মুখ দেখতে না পেলেও, কীভাবে সাধারণ বচসা থেকেই পাথর ছোড়াছুড়ি, সংঘর্ষের রূপ নিল, তা জানালেন তিনি। হনুমানজয়ন্তীর শোভাযাত্রা (Hanuman Jayanti Procession) অন্য পথে যাওয়ার কথা থাকলেও, মসজিদের সামনেই মুখোমুখি চলে আসে দুই ধর্মীয় গোষ্ঠী, আর তারপরই বচসা-সংঘর্ষ। কীভাবে দুই পক্ষের ঝামেলা থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হন পুলিশকর্মীরা, তাও জানান জখম পুলিশ অফিসার।
শনিবার রাতে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে হনুমানজয়ন্তীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে তৈরি সংঘর্ষে আট পুলিশকর্মী সহ মোট নয়জন আহত হন। এরইমধ্যে একজন হলেন সাব ইন্সপেক্টর মেধালাল মীনা। তাঁর হাতে গুলি লাগে, এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায় হাতের তালু। কে তাঁর উপরে গুলি চালিয়েছিল, সেই সম্পর্কে মেধালালের কোনও ধারণা না থাকলেও, ভিডিয়ো দেখে ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে আসলাম নামক এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। আনসার নামক আরেক যুবক, যিনি বচসা শুরু করেছিলেন, তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ ইন্সপেক্টর মেধালাল মীনা জানিয়েছেন, যে সময়ে শোভাযাত্রা ঘিরে ঝামেলা শুরু হয়, তখন তিনি ডিউটিতেই ছিলেন। শোভাযাত্রার শুরুর অংশে বচসা শুরু হওয়াতেই, তিনিও বাকিদের সঙ্গে সামনের দিকে যান বচসা থামাতে। আচমকাই ইটবৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকর্মীরা দুই পক্ষকে আলাদা করার কাজে লেগে পড়েন।
তিনি বলেন, “জাহাঙ্গিরপুরীর জি ব্লকের দিক থেকে হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রাটি আসছিল। যারা সি ব্লকের দিক থেকে আসার চেষ্টা করেছিলেন, তাদের আটকানো হয়। ততক্ষণ অবধি শান্তই ছিল পরিবেশ। কিন্তু আচমকাই অনেকজন হাতে তলোয়ার ও রড নিয়ে আসেন। উল্টোদিক থেকে ইটবৃষ্টিও শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে গুলি চালানোর শব্দও কানে আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি বুলেট আমার হাতে এসে লাগে। কমপক্ষে ৭-৮ রাউন্ড গুলি চলেছিল।”
আরও পড়ুন: Delhi Clash: শোভাযাত্রায় ঢিল নাকি মসজিদ ভাঙচুর? জাহাঙ্গিরপুরীর সংঘর্ষের কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ