Delhi Clash: শোভাযাত্রায় ঢিল নাকি মসজিদ ভাঙচুর? জাহাঙ্গিরপুরীর সংঘর্ষের কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ
Jahangirpuri clash: পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জাহাঙ্গিরপুরীতে হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় যে ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে দুজন নাবালকও রয়েছে। তিনটি দেশি পিস্তল ও পাঁচটি তলোয়ার উদ্ধার করা হয়েছে ধৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে।
নয়া দিল্লি: একে একে পুলিশের জালে ধরা পড়ছে জাহাঙ্গিরপুরীতে হিংসা ছড়ানোর পিছনে জড়িত মূল অভিযুক্তরা। রবিবার রাতেই দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়, শনিবার দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে হনুমানজয়ন্তীর শোভাযাত্রা ঘিরে পাথর ছোড়া ও হিংসা ছড়ানোর ঘটনা ঘটে, তাতে এখনও অবধি ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বাকি অভিযুক্তদের চিহ্নিতকরণ ও গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। শনিবারের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আটজন পুলিশকর্মী ও এক সাধারণ নাগরিক। গতকালই গোটা ঘটনার তদন্ত করার জন্য দুটি বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করা হয়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জাহাঙ্গিরপুরীতে হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় যে ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে দুজন নাবালকও রয়েছে। তিনটি দেশি পিস্তল ও পাঁচটি তলোয়ার উদ্ধার করা হয়েছে ধৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে। গতকালই তাদের আদালতে তোলা হয়। জানা গিয়েছে, ঘটনার মূল অভিযুক্ত আসলাম নামক এক যুবকই দিল্লি পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মেধালাল মীনার উপর গুলি চালিয়েছিলেন। তাঁর কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আনসার নামক অপর এক যুবক চার-পাঁচজনকে নিয়ে চড়াও হয়েছিলেন এবং মসজিদের সামনে দিয়ে শোভাযাত্রা যাওয়া নিয়ে বচসা শুরু করেন। এই বচসাই ক্রমে হাতাহাতি, পাথর ছোড়াছুড়ি থেকে রণক্ষেত্রের আকার নেয়। পুলিশের কাছে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিয়ো জমা পড়েছে, যেখানে এক ব্যক্তিকে গুলি চালাতে দেখা গিয়েছে। ভিডিয়ো দেখেই ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিতকরণ ও গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
একদিকে যেমন প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান সংগ্রহ করা হয়েছে, তেমনই সংঘর্ষে জড়িত দুই পক্ষের বয়ানও রেকর্ড করা হচ্ছে। স্থানীয় মুসলিমদের দাবি, যারা হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিল, তাদের হাতে ধারাল অস্ত্র ছিল এবং তারা সামনেই অবস্থিত মসজিদটি ভাঙার চেষ্টা করেন। তাদের আটকাতে গিয়েই সংঘর্ষ শুরু হয়। অন্যদিকে, শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা হাতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করার কথা মানলেও, মসজিদ ভাঙচুরের চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উল্টে মুসলিমরাই বিনা প্ররোচনায় শোভাযাত্রার উপর ইটবর্ষ শুরু করেছিল বলে অভিযোগ তাদের।
পুলিশের তরফে দাঙ্গা, খুনের প্রচেষ্টা সহ একাধিক ধারা ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও স্পেশাল সেলের সদস্যদের নিয়ে ১০টি দল গঠন করা হয়েছে তদন্তের জন্য।
আরও পড়ুন: Death : রহস্যজনক মৃত্যু শাসকদলের বিধায়কের স্ত্রীর! দেহ মিলল ঝুলন্ত অবস্থায়