Minor Abuse: বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল, ইনস্টাগ্রামের বন্ধু ‘ধর্ষণ’ করল ১০ বছরের নাবালিকাকে

Rajkot: ঝগড়ার জেরে রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ওই নাবালিকা। এর পর অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। অভিযুক্ত নাবালিকাকে একটি হোটেলে নিয়ে যায় এবং সেখানেই ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।

Minor Abuse: বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল, ইনস্টাগ্রামের বন্ধু ‘ধর্ষণ’ করল ১০ বছরের নাবালিকাকে
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 26, 2023 | 8:51 AM

রাজকোট: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উছল ২২ বছরের এক যুবকের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা নাবালকের বয়স ১০ বছর। সে একটি নামকরা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী। তাঁর সঙ্গে ধর্ষণে অভিযুক্তের পরিচয় হয়েছিল একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে। ওই রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন অভিযুক্ত যুবক। সেখানে আলাপের পর তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমেই বন্ধুত্ব হয়েছিল তাঁদের। এমনকি ফোনেও কথা হত। সম্প্রতি ওই নাবালিকার সঙ্গে তাঁর বাবার ঝগড়া হয়েছিল। মোবাইল ফোন নিয়েই ঝগড়া হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই ঝগড়ার জেরে রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ওই নাবালিকা। এর পর অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। অভিযুক্ত নাবালিকাকে একটি হোটেলে নিয়ে যায় এবং সেখানেই ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এর পর ঘটনার কথা নিজের আত্মীয়কে জানান ওই নাবালিকা। ঘটনা নিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের রাজকোটে।

জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বাবা-মায়ের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। এর পর থেকে বাবার সঙ্গেই থাকে ওই নাবালিকা। তার মা ফের বিয়ে করে মুম্বইয়ে থাকা শুরু করেছেন। নির্যাতিতার বাবা পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁর সঙ্গে সম্প্রতি একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিল নির্যাতিতা। সেখানেই অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে তার আলাপ হয়েছিল। ওই যুবক ওই রেস্তোরাঁর কর্মী। আলাপের পর ইনস্টাগ্রামে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ফোনালাপও হত বলে জানিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি নাবালিকার সঙ্গে তার বাবার ঝগড়া হয়। এর পর বাবার স্কুটার ও মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে পালায় নাবালিকা। অভিযুক্তকে এ কথা জানিয়েছিল নির্যাতিতা। তখন অভিযুক্ত তাকে একটি হোটেলে আসতে বলেন। সেখানেই ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

ঘটনা নিয়ে রাজকোটের সহকারী পুলিশ কমিশনার ভার্গব পান্ড্য বলেছেন, “রেস্তোরাঁর কর্মী ওই যুবক নাবালিকাকে হোটেলে নিয়ে গিয়েছিল। সেই হোটেলে নাবালিকার পরিচয় দেখাতে ফেক আধার কার্ড ব্যবহার করে যুবক। হোটেলের ঘরেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়।” মেয়েকে বাড়িতে না দেখে তার বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পরের দিন সে ফিরে আসে। এবং কাকিমার বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে ধর্ষণের কথা জানায়। এর পর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এবং অভিযুক্তের খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।