উত্তর প্রদেশ: স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দরাজ সার্টিফিকেট রয়েছে তাঁর সঙ্গে। ‘রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি সামলে দেশে নজির গড়েছেন’ বলে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসা করেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। সেই যোগীর রাজ্যে আগামী বছর বিধানসভা ভোট। জোর জল্পনা, এবার অযোধ্যা থেকে প্রার্থী হতে পারেন যোগী আদিত্যনাথ। সে ক্ষেত্রে অযোধ্যার বর্তমান বিধায়ক বেদপ্রকাশ গুপ্তা তাঁর আসন যোগীর জন্য হাসিমুখে ছেড়ে দেবেন বলেও জানিয়েছেন রবিবার।
বর্তমানে গোরক্ষপুরের বিধায়ক যোগী আদিত্যনাথ। গত চার বছরে তাঁর শাসনকালের রেকর্ডের ভিত্তিতে তাঁকেই ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চায় তাঁর দলের একটা বড় অংশ। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলতে থাকা মামলা শেষ হয়ে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের কাজ শুরু হয়েছে। তা সম্পূর্ণ হলে শুধু দেশ নয়, বিশ্বের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে এই বিধানসভা ক্ষেত্র। অর্থনৈতিক দিক থেকে নানা ভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠবে স্থানীয় জনপদ। ফলে সেই আসনটিকেই যোগীর জন্য সংরক্ষিত করতে চায় রাজ্য বিজেপি। অন্তত সূত্রের দাবি তেমনটাই। সত্যি যদি যোগীকে অযোধ্যা থেকে ভোটে লড়ানো হয়, তা হলে এ কথা অন্তত স্পষ্ট এবারের ভোটটা রাম লালার পা ছুঁয়েই পার করতে চাইছে গোবলয়ের গেরুয়া শিবির।
রবিবার অযোধ্যার বর্তমান বিধায়ক বেদপ্রকাশ গুপ্তা একটি সাংবাদিক বৈঠকে নিজেই এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। বলেন, “এটা আমাদের অযোধ্যাবাসীর কাছে খুবই গর্বের এবং সৌভাগ্যের বিষয় হবে যদি মুখ্যমন্ত্রী এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী লড়াই করেন। অযোধ্যা তাঁর অন্যতম অগ্রাধিকারের জায়গা। আমরা তাঁর হয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ব। আবার উত্তর প্রদেশে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তবে দল ঠিক করবে কোন আসনে কে লড়বে।” এর পরেই স্বাভাবিকভাবে জল্পনা মাথা চাড়া দেয়।
যদিও এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের মুখপাত্র সুরেন্দ্র রাজপুত বলেন, “যে বিধায়ক যোগীকে অযোধ্যায় লড়াই করতে দেখতে চান, তাঁকে আগে স্পষ্ট করতে হবে গত চার বছরে নিজের কেন্দ্রের জন্য কী করেছেন। কতজনকে চাকরি দিয়েছেন? কতগুলি গ্রামে পানীয় জল পৌঁছেছে। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য কত জন সাজা পেয়েছেন? প্রতি গ্রামে কোভিডের কারণে কতজন মানুষ মারা গিয়েছেন? যোগী শিরোনামে থাকার কাজ করেন। সেটাই বরং করে যান।” আরও পড়ুন: মন্দিরের গায়ে মুখ্যমন্ত্রীর পেল্লাই ফ্লেক্স, ‘কেরলের ঈশ্বর’! সিপিএমের পিনারাই-পোস্টারে জোরাল বিতর্ক