গুয়াহাটি : কাশ্মীর (Kashmir) জুড়ে জুড়ে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে গত কয়েকদিন ধরেই। এবার উত্তর-পূর্ব (North-East) ভারতকে নিশানা করতে চাইছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর গোয়েন্দা রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে অসমে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট (High Alert)। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে হামলা চালানোর ছক কষেছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই (ISI)। গোয়েন্দা সূত্রে সেই খবর পেয়েই সর্তকতা জারি হয়েছে অসম জুড়ে। শুধু অসম নয়, দেশের অন্যান্য রাজ্যেও হামলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
অসম পুলিশের হেডকোয়ার্টার থেকে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ একটি সতর্কবার্তা জারি করেছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, আরএসএস কর্মী ও সেনাবাহিনীই হবে হামলাকারীদের মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি, ধর্মীয় স্থান বা কোনও জামায়াতকেও লক্ষ্য করেও হামলা চালানো হতে পারে।
পুলিশের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘পাক সংস্থা আইএসআই হামলা চালাতে বলে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। আরএসএস কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হতে পারে। অসমের সেনাঘাঁটি গুলোও হতে পারে তাদের নিশানা। ধর্মীয় স্থান বা যে কোনও জমায়েতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হতে পারে।’
শুধু গোয়েন্দা সূত্রের খবরই নয়, আল-কায়েদার প্রকাশ করা একটি ভিডিয়ো বার্তার কথাও উল্লেখ করেছে পুলিশ। সেই ভিডিয়ো বার্তায় অসম ও কাশ্মীরে জিহাদের ডাক দিয়েছে আল-কায়েদা। কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদী হামলা রুখতে সব রকমের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার, কোকরাঝাড়ের ডিজি পি ও অসমের এডিজিপি কে। সব জেলার পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফফরাবাদে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে গত মাসেই বৈঠকে বসেছিল পাক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিলিয়েন্স এজেন্সির (ISI) আধিকারিকেরা। সেখানেই ভারতীয়দের কী ভাবে হত্যা করা হবে তার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর গত ২১ সেপ্টেম্বর সেই বৈঠক হয়েছে মুজফফরাবাদে। ভারতীয় গোয়ান্দাদের হাতে যে তথ্য এসেছে তাতে জানা যাচ্ছে, আইএসআই -এর অফিসারদের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের গোপনে বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরে বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে যাতে উপত্যকায় এক সঙ্গে বহু মানুষকে হত্যা করা সম্ভব হয়। কাশ্মীর পুলিশ, সেনাবাহিনী বা গোয়েন্দাদের সঙ্গে কাজ করে, এমন কাশ্মীরিদের চিহ্নিত করে যাতে হত্যা করা যায়, সেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। উত্তর কাশ্মীরের যে সব নাগরিক বিজেপি বা আরএসএস ঘনিষ্ঠ, তাঁদেরকেও টার্গেট করা হবে। জানা গিয়েছে, অন্তত ২০০ জনের একটি হিট-লিস্ট তৈরি করা হয়েছে। যাদেরকে মেরে উপত্যকায় অস্থিরতা তৈরি করতে চায় পাকিস্তান।
আরও পড়ুন : Rainfall Alert: দুর্যোগ কাটতেই ফের নিম্নচাপের ভ্রূকূটি, কবে অবধি ভারী বৃষ্টিতে ভাসবে বাংলা-ওড়িশা?