কঠিন সময়ে অন্যকে সাহায্য করতে কসুর করে না ভারত। বন্ধুত্বের হাত বাড়ালে ভারতও হাত বাড়াবে। কিন্তু সীমান্ত পারের প্রতিবেশীরা যদি লাগাতার সন্ত্রাসের রক্ষচক্ষু দেখায়? শক্ত হাতেই সেই সন্ত্রাস মোকাবিলায় প্রত্যয়ী ভারত। আর সেই কারণেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করলেন, এবার ঘরে ফিরবে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর। লন্ডনে চ্যামাথ হাউসে বক্তব্য রাখার সময় বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের সামনে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলা হয়। তখনই তিনি বলেন, কাশ্মীরের চুরি যাওয়া অংশ ফেরত পাওয়ার চেষ্টা চলছে। যা পাকিস্তান বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে। সেটা পেয়ে গেলেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান।
দেখুন কাশ্মীর তো কখনই পাকিস্তানের হাতে যাওয়ার কথা ছিল না। ১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরের ভারত ভুক্তি চুক্তিতে সই করেছিলেন রাজা হরি সিং। সেই সময়ে কাশ্মীরে ঘাঁটি গেড়ে ছিল বহিরাগত পাক সেনা ও ভাড়াটে পাশতুন যোদ্ধারা। তাদের হঠাতে সেনা অভিযান শুরু করেও রসদের অভাবে অভিযান স্থগিত রাখতে বাধ্য হয় ভারত। ঠিক হয়েছিল অস্ত্র আর রসদ এলে ফের অভিযান শুরু হবে। এরই মধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জমি দখলের অভিযোগে রাষ্ট্রসংঘে চলে যান জওহরলাল নেহরু।
দুদেশের সেনা যে যেখানে দাঁড়িয়ে সেটাই হয়ে যায় লাইন অফ কন্ট্রোল। তারপরে গত ৭৫ বছরে আর কিছুই হয়নি। তবে আজ পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ আর ব্যর্থ রাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে থাকতে চাইছেন না। বোঝাই যাচ্ছে দ্রুতই পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের হাতে চলে আসতে পারে। আমরাও অপেক্ষায় থাকছি।