
পটনা: বিহারে নির্বাচনের (Bihar Assembly Election 2025) আগেই সরগরম রাজনীতি। একে অপরকে বাক্যবাণে আক্রমণ তো চলতেই থাকে, তা বলে খুন! প্রশান্ত কিশোরের দল জন সূরজ পার্টির কর্মী দুলারচন্দ যাদবের খুনের ঘটনায় গ্রেফতার শাসক দল জেডিইউ(JDU)-র প্রার্থী!
শনিবার, ১ নভেম্বর পটনা পুলিশ জেডিইউ-র মোকামার প্রার্থী অনন্ত সিংকে গ্রেফতার করে। দিন দুয়েক আগে দুলারচন্দ যাদবের খুনের মামলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পটনায় আনা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তাঁর দুই সহযোগীকেও আটক করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিহারের মোকামায় দন সূরজ পার্টির প্রার্থী পীযূষ প্রিয়দর্শীর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন দুলারচন্দ যাদব। সেখানেই ভরা সভায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। যদিও ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে, গুলি লেগে নয়, ফুসফুস ফুটো হয়ে যাওয়া ও পাঁজরের একাধিক হাড় ভেঙে যাওয়ার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
বর্তমানে জন সূরজ পার্টিকে সমর্থন করলেও, একসময় আরজেডি-র বড় নেতা ছিলেন দুলারচন্দ। লালু প্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মোকামার দুই প্রতিপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল সভা চলাকালীন। সেই সময়ই এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুলারচন্দের মৃত্যুর সময় ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন অনন্ত সিং।
গ্রেফতারির পর জন সূরজ পার্টির প্রার্থী পীযূষ প্রিয়দর্শী বলেন, “খুব ভাল কাজ করেছে পুলিশ, তবে আরও আগে এই পদক্ষেপ করলে ভাল হত। ৫০টি গাড়ির কনভয় নিয়ে ঘুরে বেড়াছিল ওঁ (অনন্ত সিং), নির্বাচনী প্রচার করছিল। যখন এফআইআর দায়ের হয়েছিল, তখনই গ্রেফতার করা উচিত ছিল। দেরিতে হলেও সেই কাজ হয়েছে। এবার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত কীভাবে করে, তা-ই দেখার।”
গ্রেফতারির আগে অনন্ত সিং আবার দাবি করেছিলেন যে গোটা ষড়যন্ত্র করেছেন প্রাক্তন সাংসদ সূরজভান সিং। তাঁর স্ত্রী বীণা দেবী এবার আরজেডি-র প্রার্থী হয়েছেন।
এদিকে, এই ঘটনার পর জাতীয় নির্বাচন কমিশন জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন। আদর্শ আচরণবিধি যাতে ভঙ্গ না হয় এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ঠিক থাকে, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।