‘টিকা কিনতে গেলে তো দেউলিয়া হয়ে যাব’, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট সোরেন

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

May 23, 2021 | 1:42 PM

গত মাসেও মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে নিজেদের সমস্যা জানাতে না পেরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, "প্রধানমন্ত্রী যদি নিজের মনের কথা না বলে, আমাদের সমস্যার কথা শুনত, তবে ভাল হত।"

টিকা কিনতে গেলে তো দেউলিয়া হয়ে যাব, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট সোরেন
ফাইল চিত্র।

Follow Us

রাঁচী: করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তাঁর অভিযোগ, “করোনা সংক্রমণকে জাতীয় স্তরের সমস্যা বলে মনে করছে না কেন্দ্র, আবার রাজ্যগুলিকে নিজেদের পদ্ধতিতে পরিস্থিতি মোকাবিলার স্বাধীনতাও দিচ্ছে না।”

শনিবার তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “করোনা সংক্রমণ কী জাতীয় স্তরের সমস্যা নাকি রাজ্য কেন্দ্রিক সমস্যা? কেন্দ্রের তরফে আমাদের নিজেদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে দেওয়া হচ্ছে না, এ দিকে নিজেরাও কোনও কিছুই ঠিকভাবে পরিচালন করছে না। আমরা বিদেশ থেকে ওষুধ বা যন্ত্র আমদানি করার অনুমতি পাচ্ছি না, কিন্তু কেন্দ্র নিজের ইচ্ছে মতো যন্ত্র আমদানি করছে।”

মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে কেন্দ্র করোনা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিজেদের হাতে রেখেছে। অক্সিজেন বরাদ্দ করা থেকে শুরু করে টিকা বরাদ্দকরণ। কিন্তু প্রয়োজন অনুসারে রাজ্যগুলিকে সাহায্য করছে না। উদাহরণ হিসাবে তিনি বলেন, “রাজ্যে সাড়ে তিন থেকে চার কোটি করোনা টিকার প্রয়োজন, অথচ আমাদের মাত্র ৪০ লাখ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। মুম্বইয়ের মতো বড় শহরও নিজেদের বাসিন্দাদের জন্য গ্লোবাল টেন্ডার ডাকতে পারছে না। আমরা তো ছোট রাজ্য, নিজের পকেট থেকে টাকা খরচ করে যদি করোনা টিকা কিনতে হয়, তবে দেউলিয়া হয়ে যাব।”

বড় রাজ্যের মতোই ছোট রাজ্যের নীতিও এক হতে পারে না বলে জানান হেমন্ত সোরেন। তিনি বলেন, “রাজ্যগুলিকে নিজে থেকে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। আমরা কীভাবে ব্যবস্থা করব? কেন্দ্র ঝাড়খণ্ডের মতো ছোট রাজ্যের সঙ্গে মহারাষ্ট্র বা তামিলনাড়ুর মতো বড় রাজ্যের তুলনা কীভাবে করছে, আমাদের বাজেট বাকি রাজ্যের তুলনায় অনেক কম।”

উল্লেখ্য, গত মাসেও মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে নিজেদের সমস্যা জানাতে না পেরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী যদি নিজের মনের কথা না বলে, আমাদের সমস্যার কথা শুনত, তবে ভাল হত।”

আরও পড়ুন: করোনায় অভিভাবকহীন শিশুদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ উত্তরাখণ্ড সরকারের, মিলবে মাসিক ভাতা, চাকরিতে সংরক্ষণ

Next Article