Hemant Soren: রাজনীতিতে অভিজ্ঞতা শূন্য! হেমন্ত ইস্তফা দিলে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কি ইনিই হবেন?
Hemant Soren: বিধায়ক পদ খারিজ হলে মুখ্যমন্ত্রী পদও ছাড়তে হতে পারে ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেনকে। আর তাঁর ইস্তফার পর কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তার নাম বাছাইও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রাঁচী: বিপদ বাড়ছে হেমন্ত সোরেনের। তদন্তকারীদের নজরে এবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। নিজের নামে খনির ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও জনপ্রতিনিধি কোনও প্রকার লাভজনক পেশা বা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না। সেই নিয়ম ভঙ্গ করেই সোরেন নিজের নামে পাথর খাদানের ইজারা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ ওঠার পরই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। একটি মুখবন্ধ খাম ঘিরেও তৈরি হয়েছে রহস্য। বিধায়ক পদ খারিজ হলে মুখ্যমন্ত্রী পদও ছাড়তে হতে পারে ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেনকে। আর তাঁর ইস্তফার পর কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তার নাম বাছাইও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, হেমন্ত সোরেনের যদি বিধায়ক পদ খারিজ করে দেওয়া হয় এবং তিনি যদি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন, তবে তাঁর বদলে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে পারেন তাঁরই স্ত্রী কল্পনা সোরেন। ইতিমধ্যেই তাঁকে রাজনীতির মঞ্চে আনার প্রস্তুতিও শুরু করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার নেতারাও এই সিদ্ধান্তে সহমত বলেই জানা গিয়েছে। ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার প্রধান শিবু সোরেনের পুত্রবধূ সাঘারণত লাইমলাইট থেকে দূরে থাকলেও তিনি একটি স্কুল চালান এবং মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে একাধিক কর্মসূচিও পরিচালন করেন।
ঝাড়খণ্ডে বসবাস করলেও, কল্পনা সোরেন আদতে ওড়িশার বাসিন্দা। ময়ূরভঞ্জে জন্ম তাঁর। স্কুল শেষ করে রাঁচীতে কলেজে পড়তে আসেন তিনি। ২০০৬ সালে হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁদের দুটি সন্তানও রয়েছে। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডেই একটি বেসরকারি স্কুল চালান তিনি। পাশাপাশি একাধিক ব্যবসাও রয়েছে তাঁর। তবে তিনি বিশেষভাবে পরিচিত মহিলাদের স্বনির্ভর কর্মসূচি পরিচালনের জন্য।
মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী হওয়ার কারণে তাঁর নামেও একাধিক বিতর্ক রয়েছে। বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস মুখ্যমন্ত্রী সোরেনের বিরুদ্ধে যেমন সংবিধানের নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন, তেমনই কল্পনা সোরেনের বিরুদ্ধেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে একাধিক সুবিধা আদায় করে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। শিল্প মন্ত্রক হেমন্ত সোরেনের হাতে থাকায়, আধিবাসীদের শিল্প উদ্যোগের জন্য বরাদ্দ জমি থেকে ১১ একর জমি তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেনকে দিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।